ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হত্যার কথা গোপন করে বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেয় জিতু

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ৩০ জুন ২০২২   আপডেট: ২০:০২, ৩০ জুন ২০২২
হত্যার কথা গোপন করে বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেয় জিতু

আশরাফুল আহসান জিতু, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার আশুলিয়ায় উৎপল কুমার সরকার নামে স্কুল শিক্ষককে হত্যার পর সেই ঘটনা চেপে গিয়ে বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেয় মূল আসামি আশরাফুল আহসান জিতু।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে জিতুর বন্ধু বশির শরীফ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ দাবি করে জানান, তিনি আগে থেকে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

এর আগে হত্যাকাণ্ডের পর আশরাফুল আহসান জিতু গাজীপুরের শ্রীপুরে তার বন্ধু বশির শরীফের (১৮) বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকেই বুধবার (২৯ জুন) জিতুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

জানা গেছে, বশির শরীফের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাইউসোনা গ্রামে। দেড় মাস আগে তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকার এনআরজি স্পিনিং মিলস্ লিমিটেডে কারখানায় মেকানিক্যাল হেলপার হিসেবে যোগ দেন। বড় ভাই ইমরান বিশ্বাস ও বড় বোন জিনিয়া আক্তারের সঙ্গে তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

বশির শরীফ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, জিতুর সঙ্গে তিনি আশুলিয়ার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। ৯ম শ্রেণীতে পড়ার সময় সহপাঠী হিসেবে দুজনের পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তখন থেকেই তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতেন।

‘বুধবার ভোরে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় এসে জিতু আমাকে ফোন করে এবং আমার বাড়িতে কয়েকদিন বেড়াবে বলে জানায়। আমি তাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজারে আসতে বলি এবং সেখান থেকে বাসায় নিয়ে আসি। আমি বড় ভাই ও বোনের সঙ্গে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকি। এক ঘরে জায়গা না হওয়ায় জিতুকে পাশের সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া পরিচিত এক বড় ভাই সুজনের ঘরে থাকার ব্যবস্থা করি।’ বলেন বশির শরীফ। 

তিনি আরো বলেন, ‘আমার এখানে আসার পরই জিতু জানায় তার বাবা বিকাশের মাধ্যমে এক হাজার টাকা পাঠাবে। সেই টাকা তুলতে দোকানে গেলে হঠাৎ র‌্যাব সদস্যরা পরিচয় দিয়ে আমাকে জিতুর ছবি দেখান। তখন আমি র‌্যাব সদস্যদের নিয়ে জিতু যেখানে ছিল সেখানে যাই।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৫ জুন) আশুলিয়ায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক এবং শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ওই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে উৎপল কুমার মারা যান। এ ঘটনায় জিতুর বিরুদ্ধে নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্তের বয়স ১৬ বছর দেখানো হয়। কিন্তু জন্ম সনদ ও নবম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী জিতুর বয়স ১৯ বছর ৬ মাস বলে জানা গেছে। 

রফিক সরকার/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়