ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কক্সবাজারে পশুর হাট কাঁপাবে ‘কক্স কিং ও ডায়মন্ড’

তারেকুর রহমান, কক্সবাজার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪০, ১ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১০:৪৩, ১ জুলাই ২০২২
কক্সবাজারে পশুর হাট কাঁপাবে ‘কক্স কিং ও ডায়মন্ড’

২৮ মণের বেশি ওজনের ‘কক্স কিং

দীর্ঘ ৩ বছরের বেশি সময় ধরে লালন পালন করে দুটি গরুকে যত্ন করে বিক্রির উপযোগী করেন কক্সবাজারের উত্তর জানারঘোনা এলাকার শফিকুল ইসলাম। 

কালো রং আর সুঠাম দেহের অধিকারী ২৮ মণের বেশি ওজনের গরুটির নাম দিয়েছেন ‘কক্স কিং। এর দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ১১ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। আর লাল রঙের ২০ মণের বেশি ওজনের গরুটির নাম দিয়েছেন ডায়মন্ড। 

কক্সবাজারে এবার কোরবানির পশুর হাঁটে এই গরু দুটি জেলার সর্বোচ্চ বড় পশু হবে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।

গরু দুটির মূল্যও হাঁকিয়েছেন অনেক। কক্স কিংয়ের দাম সাড়ে ১২ লাখ এবং ডায়মন্ডের দাম সাড়ে ৮ লাখ টাকা ঘোষণা করেছেন মালিক শফিকুল।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরের কলেজ গেট এলাকার উত্তর জানারঘোনার খামারি শফিকুল ইসলামের খামারে গিয়ে দেখা মেলে গরু দুটির। তার খামারে আরো গরু রয়েছে। তবে এই গরুটিই সবচেয়ে বড়।

গরুর মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সারা বছর গরুর ব্যবসা করি। কিন্তু এই কোরবানির ঈদে পশুর হাঁট কাঁপানোর জন্য গত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে কক্স কিং এবং ডায়মন্ডকে যত্নের সাথে পালন করেছি। অনেক ঝুঁকির মধ্যেও নিজের মনের আশাটা পূরণ করার জন্য গরুটিকে মোটাতাজা করেছি। আমার জানা মতে গরু দুটিই কক্সবাজারের সবচেয়ে বড় গরু।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ১০ কেজি করে দুবেলা খাবার দিতে হয় এদের। খাবারের মধ্যে রয়েছে- কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়, গমের ভুসি, ধানের গুড়া, ভুট্টা এবং ভাত। এদের জন্য দৈনিক ১ হাজার টাকার মতো খাবার লাগে।

গরুর দেখাশোনা করা রাখাল মো. ইসমাইল বলেন, ‘নিজের সন্তানের মতো যত্ন করে কক্স কিং এবং ডায়মন্ডকে বড় করে তুলেছি। এদের গোসল করা, খাওয়ানো, ঘাস কাটা থেকে শুরু করে সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছি। গত ৩ বছর আগে থেকে লক্ষ্য ছিল এবার ঈদে এদের হাটে তুলবো। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার হাট কাঁপাবে কক্স কিং এবং ডায়মন্ড।’

২০ মণের বেশি ওজনের ডায়মন্ড

এদিকে আসন্ন কোরবানির ঈদে জেলায় গরুর সংকট পড়বে না বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোর্তিময় ভৌমিক।

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে কোরবানি গরুর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। চাহিদার উপর ভিত্তি করে আমরা এখন থেকে ১ মাস আগে যাচাই বাছাই করে একটা তালিকা তৈরি করেছি। জেলার খামারিদের কাছে ১ লাখ ৪৮ হাজার গরু মজুদ রয়েছে। অথচ জেলাজুড়ে গরুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার। এছাড়াও মৌসুমভিত্তিক ব্যবসায়ীদের কাছেও কিছু গরু মজুদ রয়েছে। এমনিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার গরু আমাদের হিসেবে ঢুকবে। সে হিসেবে কোরবানির জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার মতো গরু প্রস্তত থাকবে। এতে চাহিদার চেয়ে বেশি গরু বাজারে থাকবে। এবারের ঈদে গরুর ঘাটতি হবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘গরুর মাংস সরবরাহ ও যাতে নিরাপদে গরু জবাই করতে পারে সে ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট নজরদারি রয়েছে। আমরা সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

/টিপু/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ