‘পাকিস্তানিরাও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায়’

পাকিস্তানিরাও তাদের দেশে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

শুক্রবার (১ জুলাই) ঢাকার ধামরাইয়ে শ্রী শ্রী যশোমাধবের রথযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের পার্লামেন্টে সুষমা স্বরাজ কয়েক বছর আগে বলেছেন, বাংলাদেশে গত এক দশকে ৮ শতাংশ হিন্দু বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ছিল ২ শতাংশ। এখন তা ১০ শতাংশ। এতে কি বোঝা যায়? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সকলেই একসঙ্গে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাস করতে পারে। সুষমা স্বরাজের বক্তব্য অনুযায়ীই হিন্দু বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ সকলের জন্য এখন নিরাপদ।’

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের এক নেতা পার্লামেন্টে বলেছেন শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানে এনে দাও। পাকিস্তানকে তিনি বাংলাদেশ বানিয়ে দিক এটাই আমাদের চাওয়া। কি বোঝায়? যে পাকি বাঙালিরা এখনো পাকিস্তানি কৃষ্টি কালচার নিয়ে রাজনীতি করে। অথচ পাকিস্তানিরা চায় শেখ হাসিনা সেখানে প্রধানমন্ত্রী হোক। তাদের পরিবর্তন হোক। আর কি চান আপনারা?’

ড. শামসুল আলম বলেন, ‘স্বাধীনতার আগে পাকিস্তানের নাগরিকদের আয় পূর্ব পাকিস্তানের তুলনায় ৭৫ গুণ বেশি ছিল। এখন তাদের তুলনায় বাংলাদেশিদের আয় ৫০ গুণ বেশি। আমাদের মাথাপিছু আয় ২০২১ অর্থবছরে ছিল ২৫০০ ডলার। আর পাকিস্তানে ১৫৬০। অর্থাৎ পাকিস্তানকে আমরা পেছনে ফেলেছি। শুধু তাই নয়। আমরা ভারতকেও গত ২-৩ বছরে মাথাপিছু আয়ে পেছনে ফেলেছি।’

বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার হার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে কম, শিশুমৃত্যু সবচেয়ে কম। আমরা নিম্ন-মধ্যবিত্ত দেশ হয়েছি। নিম্নবিত্ত দেশ থেকে উন্নতি হয়েছে। যেটার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে ২০২৬-এ। সবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে।’

পূর্ববর্তী সময়ে দেশ পিছিয়ে পড়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গোপাল কৃষ্ণ হত্যাকাণ্ড, মানিক সাহা হত্যাকাণ্ড, আহসান উল্লাহ মাস্টার, এসএম কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৪-এর একুশে আগস্ট হামলা চালানো হয়েছে। তবুও শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। একটা অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার জন্য। আমাদের সকলের উচিত শেখ হাসিনার বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করা। যেন উচ্চ মধ্যবিত্ত দেশ হতে পারি। ২০৪১-এ উন্নত দেশ হবো। সেই উন্নত মানবিক ধর্মনিরপেক্ষ দেশ চাইলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’

রথযাত্রার প্রশংসা করে ড. শামসুল আলম বলেন, ‘এটা একটি স্মরণীয় অনুষ্ঠান, পরম আকাঙ্ক্ষিত অনুষ্ঠান। আজ আপনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অনুষ্ঠান পালন করতে পারছেন, এটা সরকারের অবদানের কারণে।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আপনাদের সন্তানদের বলতে হবে, তাদের জীবনের রোল মডেল হবে শেখ হাসিনা। একজন নারীর রোল মডেল হবেন শেখ হাসিনা। আপনাদের উচিত তাকে সামনে রাখা। সকলকে আশীর্বাদ জানাচ্ছি। রথযাত্রা সফল হোক। আসুন সবাই মিলে ধর্ম নিরপেক্ষ মানবিক দেশ গড়ে তুলি।’