ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে চাহিদার চেয়ে দেড়গুণ বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ৪ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১৫:২১, ৪ জুলাই ২০২২
পঞ্চগড়ে চাহিদার চেয়ে দেড়গুণ বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পঞ্চগড়ে চাহিদার চেয়ে দেড়গুণ বেশি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় সাড়ে ৪৫ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। জোগান বেশি থাকায় গরু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় ক্রেতাদের মাঝারি আকারের গরু বেশি পছন্দ। ফলে খামারিরা বড় আকারের গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। প্রতি বছর ঈদের আগ মুহূর্তে বাইরের জেলার ব্যাপারিরা খামার থেকেই গরু কিনে নিতেন। কিন্তু এ বছর তেমন ব্যাপারি না আসায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, পঞ্চগড় জেলায় এ বছর করবানির জন্য গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৮৯ হাজার ৮৭৯টি। এর বিপরীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ২৭২টি গবাদিপশু। এরমধ্যে গরু ৪১ হাজার ২৪৬টি, মহিষ ৩৪টি, ছাগল ৮৪ হাজার দুইটি এবং ভেড়া ৯ হাজার ৯৯০টি। উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা ৪৫ হাজার ৩৯৩টি। 

সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাইকানীপাড়া এলাকার খামারি মনির হেসেন বলেন, পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু মোটাতাজাকরণে ব্যয় বেড়েছে অনেক। বাইরের ব্যাপারি না আসায় গরুর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশিত দাম বলছেন না। ভালো দামে বিক্রি করা না গেলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ঠেকরপাড়া এলাকার খামারি মোকাম্মেল প্রধান জানান, তার খামারে কোরবানির জন্য ষাঁড় গরু প্রস্তুত রয়েছে ২০টি। তবে এখন পর্যন্ত সেগুলো বিক্রি করতে পারেননি তিনি। দু-একজন ব্যবসায়ী আসলেও কাঙ্খিত দাম বলেনি।

তিনি বলেন, আমার খামারের সবচেয়ে বড় গরুটির ওজন ২২ মণ। ব্যবসায়ীরা ভালো দাম না বলায় এখনও বিক্রি করিনি। গরুটির পেছনে দৈনিক এক হাজার টাকার বেশি খরচ হয়। কাঙ্খিত দাম না পেলে নিশ্চিত লোকসান হবে।

পঞ্চগড় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল হাই বলেন, জেলায় এবার কোরবানির চাহিদার চেয়ে গবাদিপশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে। এরই মধ্যে কোরবানির পশুর হাট শুরু হয়েছে। হাটগুলোতে সুস্থ্য-সবল পশু বেচাকেনায় সহযোগিতার জন্য মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।

আবু নাঈম/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়