ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে ‘নবলোক’ হাওয়া

ভোলা সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫০, ৫ জুলাই ২০২২  
গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে ‘নবলোক’ হাওয়া

ভোলার তজুমদ্দিনে ‘নবলোক’ নামের একটি এনজিও ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে গ্রাহকদের জামানতের অন্তত ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেছে।

সোমবার (৪ জুলাই) প্রায় ৫০ জন গ্রাহক ঋণের টাকা নিতে এসে অফিসে তালাবদ্ধ দেখেন। পরে গ্রাহকরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। 

অফিসের সামনে লাগানো সাইনবোর্ডে পিকেএসএফের অর্থায়নে পরিচালিত ঋণ কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে এনজিও নবলোক। সেখানে এনজিওটির একটি সনদ নম্বরও দেওয়া আছে। সদস্যদের দেওয়া পাশ বইতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় লেখা রয়েছে খুলনা জেলা সদরের নিরালা রোড। 

গ্রাহকদের থানায় করা ওই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি তজুমদ্দিনের গোডাউন রোডের শ্রমিক কালা চানের বাসা ভাড়া নেয় ‘নবলোক’ নামের ওই এনজিও প্রতিষ্ঠান। ২৮ জুন ওই বাসায় অফিস চালু করেন এক নারীসহ তিন ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিরা এনজিওর পরিচয় দিয়ে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের পঞ্চায়েত কান্দি, বাদুরা, খাশের হাট, কালির বাজার, দেওয়ানপুর, চৌমুহনী, সোনাপুরের ইন্দ্রনারায়ণপুর, চাপড়ি, শম্ভুপুরের ভুবন ঠাকুর, গোলকপুর, শিবপুরসহ অন্তত ২৫ টি এলাকায় নারীদের নিয়ে সমিতি গঠন করে। এসব সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে ঋণের সঞ্চয়ের কথা বলে ৫-২০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয় এনজিওটি।

আড়ালিয়ার বাদুড়া গ্রামের ভুক্তভোগী মো. হান্নান জানান, আমাকে এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা নেয়। এখন ঋণের টাকা নিতে এসে দেখি অফিস তালাবদ্ধ। আমাদের এলাকায় সমিতি গঠন করে আমিসহ আরও প্রায় ২০-২৫ জনের কাছ থেকে এভাবে টাকা নিয়েছে এনজিও ‘নবলোক’।

বাড়ি মালিক কালা চাঁদ দাস জানান, এক সপ্তাহ আগে এনজিও নবলোককে বাসা ভাড়া দেই। কিন্তু তাদের সাথে আগামী ৬ জুলাই এক বছরের অগ্রিম ভাড়া প্রদান সাপেক্ষে লিখিত চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা। কিন্তু রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই তারা নিরুদ্দেশ, ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। 

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জিয়াউল হক জানান, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। প্রতারকদের বিষয়ে সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারেনি। তবুও ব্যাপারটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মরিয়ম বেগম বলেন, উপজেলাতে ‘নবলোক’ নামের এনজিওর কার্যক্রম সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়নি। এ এনজিওর কোনো তথ্যও জানা নেই। টাকা লেনদেনের বিষয়টিও আমাকে কেউ জানায়নি।

মনজুর/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়