মুন্সীগঞ্জে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপাড়ায়
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জের কামারপাড়ার ব্যস্ততা বেড়েছে। হাতুড়ি পেটার শব্দে মুখর জেলা সদরের পৌরবাজার, সদর উপজেলা হাট-বাজার ও বিভিন্ন কামারের দোকান।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানগুলোতে চলছে পশু জবাই ও মাংস কাটার জন্য ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ নানাবিধ সরঞ্জাম তৈরির কাজ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছে কামারপাড়ার কারিগরেরা। গত দুই বছর কোভিডের কারণে মন্দা গেছে কোরবানির মৌসুম। সে কারণে এবার তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান।
জেলার বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা যায় দা, ছুরি, চাকু ও বঁটির বেচাকেনা বেড়েছে। দামও সন্তোষজনক। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসবে ব্যস্ততা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, কারিগরদের অভিযোগ, দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগামী। কিন্তু পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারাদিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়। ফলে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। মুন্সীগঞ্জ পৌর বাজারের কানু কর্মকার বলেন, ‘আমি এ পেশায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছি। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। এ ছাড়া আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব পণ্যের অনেক কিছুই এখন প্রযুক্তিনির্ভর। ফলে কামার সম্প্রদায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে।’
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করেন কানু কর্মকার।
কামার আব্দুল মিয়া বলেন, করোনাকালে অন্য পেশায় ছিলাম। এখন আবার এ পেশায় ফিরে এসেছি। করোনার সময় গেল দুই বছর আমাদের অনেক খারাপ সময় গেছে। সারা বছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। কোরবানির ঈদের আগে বেচাকেনা ভালো হয়।
তবে জেলার ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বঁটির দাম বেশি।
রতন/তারা
আরো পড়ুন