ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

বাড়তি ভাড়াতেও মিলছে না গণপরিবহন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪১, ৮ জুলাই ২০২২   আপডেট: ২২:৫৪, ৮ জুলাই ২০২২
বাড়তি ভাড়াতেও মিলছে না গণপরিবহন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল গ্রামের হাফিজুর রহমান হাফিজ। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেল ৫টায় এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আসেন। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়াতেও পাননি কোনো গণপরিবহন। এতে তার বাড়ি যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে যে সমস্ত বাসের হেলপার ও সুপারভাইজাররা অনেক অনুরোধ করে বাসে নিত। আজ তারা দুই থেকে তিন গুন ভাড়ায়ও বাসে তুলছে না। চার ঘণ্টায়ও বাড়িতে যাওয়ার মতো কোন গাড়ি পাইনি। আগে দুই থেকে তিন শ টাকা নিলেও আজ ৮০০ টাকায়ও বাসে নিচ্ছে না। সড়কে হাজার হাজার যানবাহন কিন্তু বাড়ি যাওয়ার কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। এছাড়া সড়কে প্রচুর যানজট। সব মিলিয়ে বাড়ি যাওয়া নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছি।’

শুধু হাফিজুর রহমান নন, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে সব বাস, ট্রাক ও পিকআপ ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আসছে।

সরেজমিনে মহাসড়কের সদর উপজেলার আশেকপুর, ঘারিন্দা, শিবপুর, রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা এলাকা ঘুরে গণপরিবহনের অপেক্ষায় শত শত মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

শহরের রাবনা এলাকায় কথা হয় চিলমারিগামী খোরশেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দুই ঘণ্টায় কোনো গাড়িতে উঠতে পারলাম না। ব্যক্তিগত গাড়িতে ছিনতাই ও ডাকাতির ঝুঁকি আছে। তাই বাস অথবা ট্রাকের জন্য দাঁড়িয়ে আছি।’

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সদরের মোতালেব মিয়া বলেন, ‘আড়াই ঘণ্টায়ও কোনো গাড়ি পেলাম না। কীভাবে বাড়ি যাবো আর কীভাবে মা-বাবাসহ পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবো তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।’

সিরাজগঞ্জ তারাশ উপজেলার শিশির মিয়া বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ রোডে যাওয়ার জন্য দুই ঘণ্টা যাবত এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষা করছি। তবে রোডের নাম শুনেই হেলপার বাসের গেট লাগিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া রাস্তায় তীব্র জ্যাম রয়েছে।’

বগুড়ার টুটুল বলেন, ‘ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। চোখের সামনে শত শত গাড়ি। কিন্তু বাড়ি ফেরার মতো কোনো গাড়ি পাচ্ছি না।’

বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪০ লাখ ৭ হাজার ৭ শত টাকা।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘যানজট নিরসনে সাত শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের চাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।’

কাওছার/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়