ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘স্বপ্নরাজে’র দাম কম পাওয়ায় হতাশ খামারি বাবু

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৮, ১৩ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১৩:৫২, ১৩ জুলাই ২০২২
‘স্বপ্নরাজে’র দাম কম পাওয়ায় হতাশ খামারি বাবু

স্বপ্নরাজের সঙ্গে খামারি মোজাম্মেল হক বাবু

সাদা-কালো ডোরাকাটা ফিজিয়ান জাতের ষাঁড় ‘স্বপ্নরাজ’। পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘলবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বাবুর খামারে পালিত হয় এই ষাঁড়টি। ৩৬ মণ ওজনের এই ষাঁড়ের দাম তিনি চেয়েছিলেন ২০ লাখ টাকা। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। মাত্র পাঁচ লাখ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে ‘স্বপ্নরাজ।’

খামারি মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, “অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম ‘স্বপ্নরাজ’ কে নিয়ে। কিন্তু তা আর পূরণ হলো না। সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে আমার। খুব হতাশায় ভুগছি আমরা।”

তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে বাড়িতে থেকেই ষাঁড়টি বিক্রি করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু হয়নি। পরে ঈদের আগে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) স্বপ্নরাজকে ঢাকার গাবতলী পশুরহাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাই। সেখানে কাঙ্খিত দাম না ওঠায় তাই বাধ্য হয়ে ঈদের আগের দিন শনিবার (৯ জুলাই) স্বপ্নরাজকে মাত্র ৫ লাখ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেই। ঢাকায় নেওয়া থেকে শুরু করে বিক্রির আগ পর্যন্ত ষাঁড়টির পেছনে আমার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা।’

দাম না পাওয়ার কারণ হিসেবে মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, ‘আসলে এখন বড় গরুর চাহিদা নেই। সবাই এখন মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু চান। যে কারণে বিক্রি করে কাঙ্খিত দাম পাওয়া যায়নি। একবার কষ্ট করে খরচ করে ঢাকায় নিয়ে গেছি। আবার ফেরত নিয়ে আসতে অনেক টাকার খরচ হতো। সবমিলিয়ে চিন্তা ভাবনা করে লোকসান জেনেও বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি স্বপ্নরাজকে।’

তিনি বলেন, ‘স্বপ্নরাজকে বিক্রি করে লাভ তো অনেকদূরের বিষয় আমার আরো অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। এখন থেকে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু লালন পালন করে বিক্রি করবো। এতে পশুগুলো যেমন দ্রুত বিক্রি হবে লোকসান নিয়েও চিন্তা করতে হবে না।’ 

প্রসঙ্গত, তিনবেলা ১৭ থেকে ১৮ কেজি স্বাভাবিক সুষম খাবারের পাশাপাশি তিনবেলা নাস্তা হিসেবে আপেল, কলা, আঙুরসহ নানা ফলমূল খাওয়ানো হতো স্বপ্নরাজকে।

আরো পড়ুন: ‘স্বপ্নরাজ’ পেতে লাগবে ২০ লাখ, খাওয়াতে হবে আপেল-কলা-আঙুর!

শাহীন/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়