ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মাগুরায় পুলিশের নির্যাতনে ১ ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ 

মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৭, ১৬ জুলাই ২০২২  
মাগুরায় পুলিশের নির্যাতনে ১ ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ 

মাগুরায় পুলিশের মার খেয়ে আব্দুস সালাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, পালাতে গিয়ে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।  

নিহত আব্দুস সালাম মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক। এছাড়াও তিনি ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ডে বাসের টিকিট কাউন্টারে কাজ করতেন। 

এলাকাবাসী জানান, আজ শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. জামাল অতর্কিত এসে ওয়াপদা মোড় থেকে আব্দুস সালামকে ধরে বুকে লাথি মারেন। এ সময় সালাম পড়ে গিয়ে আহত হন। এসআই জামাল সেই অবস্থায় তাকে মারধর করতে করতে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেও তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক পর্যায়ে সালাম নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে পুলিশের গাড়িতে করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। সেই সময় নাকোল ওয়াপদা এলাকায় এলাকাবাসী পুলিশের গাড়ি আটকে সালামকে মৃত দেখতে পায়।

প্রত্যক্ষদর্শী আলীয়ার রহমান বলেন, ‘অনেক লোকের সামনে দারোগা জামাল আব্দুস সালামের বুকে লাথি মেরে ফেলে দেন। তাকে সেই অবস্থায় জোর করে ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে বেদম মারধর করা হয়। চিকিৎসার কথা বলে সালামকে পুলিশের গাড়িতে মাগুরা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আমরা সেই সময় গাড়ি আটকে দেখি তিনি মারা গেছেন।’  

এ বিষয়ে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও এসআই জামালের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মাগুরার শ্রীপুর থানার ওসি প্রিটন সরকার সন্ধ্যায় রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। কিছু দিন আগে আব্দুস সালাম এক ছেলেকে মারধর করেন। তাকে ধরতে যায় এসআই মো. জামাল। সালামের বুকে লাথি মারা হয়নি বলে এসআই জামাল আমার কাছে দাবি করেছেন।’ 

ওসি প্রিটন সরকার আরও বলেন, ‘মৃলত দৌঁড় দিয়ে পালাতে গিয়ে পড়ে আব্দুস সালামের মৃত্যু হয়েছে বলে জামাল দাবি করেছেন।’ 

মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ্হসান হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগে আব্দুস সালাম মারা যান। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।’ 

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল ৬টার দিকে এলাকাবাসী ওয়াপদা সড়ক অবরোধ করে। এ সময় তারা নির্যাতনকারী নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জামালের বিচার দাবি করেন। 
 

শাহীন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়