ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ভালো দাম পাওয়ায় মাঝারি গরু পালনের প্রত্যাশা খামারিদের

কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ১৭ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১০:০০, ১৭ জুলাই ২০২২
ভালো দাম পাওয়ায় মাঝারি গরু পালনের প্রত্যাশা খামারিদের

কোরবানির ঈদে বেশি দামে গরু বিক্রি করতে পেরে খুশি কুষ্টিয়ার খামারিরা। গত তিন বছরের তুলনায় এবার লাভ ভালো হয়েছে। ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি ছিলো। তাই আগামীতে মাঝারি গরু পালনের প্রত্যাশা করছেন খামারিরা।

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া, কুমারখালী, মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলার বেশ কিছু খামারির সঙ্গে কথা হলে জানা গেছে, কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম ভালো ছিলো। তাই বেশিরভাগ বিক্রেতায় কম বেশি লাভ করেছেন।

কুষ্টিয়া জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর কোরবানির বাজারে বিক্রয়ের জন্য প্রায় ১ লাখ গরু, মহিষ এবং ৮০ হাজার ছাগল, ভেড়া পালন করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক দামে পশুগুলো বিক্রি হয়েছে।

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া এলাকার কৃষক খায়রুল আলম জানান, তিনি এ বছর গাবতলী পশুর হাটে তিনটি গরু নিয়ে গিয়েছিলেন।

খাইরুল আলম বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বাজার ভালো ছিলো। প্রথমে শঙ্কায় ছিলাম বিক্রি হবে কি না এই ভেবে। পরে বেশ ভালো দামেই গরু বিক্রি হয়েছে। বাড়িতে যে গরু গড়ে ৭০-৮০ হাজার টাকা দাম বলছিলো ব্যাপারীরা, সেখানে ঢাকায় গড়ে ১ লাখ টাকা করে বিক্রি করেছি।

তিনি বলেন, বাজারে বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। তাই আগামীতে দেশি জাতের ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরু পালন করবো বলে ভাবছি।

মিরপুর উপজেলার সদরপুর গ্রামের কৃষক শহিদুলের স্ত্রী হাফিজা খাতুন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারেও ৩টি দেশীয় জাতের ষাঁড় বড় করেছিলাম। প্রথমে ভাবছিলাম গরু এবার বিক্রি হবে না। পরে ঈদের ৩ দিন আগেই বিক্রি করে দিয়েছি ভালো দামে। গত বছরের তুলনায় এবার দাম ভালো পেয়েছি।

কুমারখালী উপজেলার পান্টি এলাকার মজিবার আলী বলেন, গরুর খাবারের যে দাম, আর গত কয়েক বছর বাজারে দাম কম হয়েছিলো। তাই বেশ আতঙ্কে ছিলাম গরু বিক্রি নিয়ে। তবে এবার ভালো দাম পেয়েছি।

মিরপুর উপজেলার মৌসুমী গরু ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন জানান, এ বছর আমি ৭টা গরু কিনে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। সবগুলোই প্রায় বাঁকিতে কেনা ছিলো। গরু বিক্রি করে এসে টাকা দেওয়া শর্তে। এ বছর বেশ ভালো লাভ হয়েছে। ৭টা গরুতে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ করেছি।

উপজেলার লালন ডেইরি ফার্মের পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বড় গরুর তুলনায় মাঝারি গরুর চাহিদা সব সময় বেশিই থাকে। আমাদের ফার্মে এবার ৩০টা গরু মোটাতাজা করণ করা হয়েছিলো দেশীয় পদ্ধতিতে। তাই আমাদের গরুর বাড়তি চাহিদা ছিলো। সবগুলোই ভালো দামে বিক্রি হয়েছে। 

কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর খামারিরা বেশ ভালো দাম পেয়েছেন। এবার বিক্রি হয়নি এমন পশুর সংখ্যা খুবই কম। তবে এখনও তার সঠিক পরিসখ্যান পাওয়া যায়নি। আগামীতে জেলায় গরু মোটাতাজাকরণ ও ছাগল পালন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি। 

কুষ্টিয়া/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়