ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রেমের টানে মালয়েশিয়া থেকে সখীপুরে: বিয়ের পর যা জানা গেলো

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৭, ২৫ জুলাই ২০২২   আপডেট: ২১:১৪, ২৫ জুলাই ২০২২
প্রেমের টানে মালয়েশিয়া থেকে সখীপুরে: বিয়ের পর যা জানা গেলো

মনিরুল ও জুলিজা বিনতে কামিস

টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রেমের টানে যুবক মনিরুলের কাছে আসা মালয়েশিয়ান নারী জুলিজা বিনতে কামিস ১৫ দিন সংসার করার পর নিজ দেশে চলে গেছেন। তবে চলে গেলেও এখনও মনিরুলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন তিনি।

মনিরুল ইসলাম (২৬) সখীপুরের কাদেরনগর মুজিব কলেজ মোড় এলাকার বাসিন্দা ঈমান আলীর ছেলে। ওই মালয়েশিয়ান নারী ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মনিরুলের কাছে চলে আসেন। বিয়ে করে সংসারের ১৫ দিনের মাথায় মনিরুলকে ছেড়ে তার নিজ দেশে ফিরে যান জুলিজা বিনতে কামিস। সম্প্রতি মনিরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা জানান, জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মনিরুলের প্রেমের সর্ম্পক হয়।  প্রায় ছয় মাস সম্পর্কের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ওই নারী মনিরুলের কাছে সখীপুরে চলে আসে। এরপর বিয়ে হয় তাদের। হঠাৎ করে মালয়েশিয়া থেকে খবর আসে ওই নারীর স্বামী ও চার সন্তান রয়েছে। এরপর ওই যুবক নারীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। যুবকের সঙ্গে ১৫ দিন ঘরসংসার করে তার নিজ দেশে ফিরে যান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। প্রায় ছয় মাস প্রেমের সম্পর্কের পর জুলিজা বিনতে কামিস আমার কাছে চলে আসে। পরে বিয়ে করি।  তার ভিসার মেয়াদ ১৭ দিন ছিল। আমরা ১৫দিন একত্রে ছিলাম। পরে সে তার নিজ দেশে চলে গেছে। এখনও তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন স্ত্রী হিসেবে নয়, ভালো বন্ধু হিসেবে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। শুনেছি তার স্বামী ও দুইজন সন্তান রয়েছে। কিন্তু সে তার স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে পৃথক রয়েছে।’

মনিরুলের বাবা ঈমান আলী বলেন, ‘মেয়েটি হয় তো কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। আমার ছেলের জীবনটা নষ্ট করে দিয়ে মেয়েটি চলে গেছেন। এখন ছেলেকে বিয়েও করাতে পারছি না। আমার ছেলে ওই সময় কলেজে পড়াশোনা করতো। কিন্তু এখন পড়াশোনা বাদ দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। ওই মেয়ের পেছনে ১৭ দিনে আমার প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনও সেই ঋণের টাকার বোঝা টানতেছি। নিজেদের থাকার জায়গাটুকুও নেই। অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকি। আমাদের কষ্টের জীবন। মেয়েটি আমাদের সম্মানহানি ও অনেক ক্ষতি করে চলে গেছেন।’

/কাওছার আহমেদ/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়