ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাগেরহাটের মৎস্য কেন্দ্রে ৫০ লাখ টাকার সামুদ্রিক মাছ বিক্রি

বাগেরহাট প্রতিনিধি   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ২৬ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১৬:৫৪, ২৬ জুলাই ২০২২
বাগেরহাটের মৎস্য কেন্দ্রে ৫০ লাখ টাকার সামুদ্রিক মাছ বিক্রি

ইলিশ

বাগেরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে সাগর থেকে ভিড়তে শুরু করেছেন জেলেরা। দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি মাছ বাজারে দেখা যাচ্ছে রূপালী ইলিশসহ সামুদ্রিক নানা মাছের বেচা-কেনা।তবে মাছের দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

আড়তদাররা জানান, গত দুইদিনে এই পাইকারি মৎস্য হাটে বিক্রি হয়েছে ৫০ লাখ টাকার বেশি ইলিশ ও বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ভোরে বাগেরহাটের দড়াটানা নদীর তীরে অবস্থিত কেবি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক-ডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি। হাটে এক কেজি ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। এছাড়া ঢেলা চ্যালা, জাবা, পোয়া, লইট্যা, রূপচাঁদা, চন্দনা, বেলেসহ সামুদ্রিক মাছের দাম ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

মাছ বেচা কেনায় জমে উঠেছে কেবি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।

সাগর থেকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ নিয়ে আসা জেলে আলমগীর শেখ বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় জাল, ট্রলার মেরামত করে দিন কাটিয়েছি। অবরোধ উঠে যাওয়ার দুই তিনদিন আগেই সমুদ্রে চলে যাই। আজকে মাছ নিয়ে ফিরলাম। আল্লাহ দিলে জালে ভালো মাছ উঠছে। এভাবে চলতে থাকলে ধার-দেনা কিছু শোধ করতে পারবো।’ 

কেবি বাজারে শ্রমিকের কাজ করা মনিরুল বলেন, ‘ট্রলার থেকে মাছ ওঠানো, বাছাইসহ বিভিন্ন কাজ করে আমরা আয় করি। দুই দিন বেশ মাছ এসেছে। পুরো মৌসুম এভাবে চললে আমাদের দিনগুলো কিছুটা ভালো কাটবে।’  

এদিকে মাছের দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন ক্রেতা। সোহাগ আহম্মেদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘৮০০ টাকার ইলিশ দাম চাচ্ছে ১২০০ টাকা। এতো দামে সাধারণ মানুষ কিভাবে কিনবে। তাই মাছ না কিনেই ফিরে যাচ্ছি।’ 

কেবি মাছ বাজার আড়ৎদার সমিতির সভাপতি শেখ আবেদ আলী বলেন, ‘সামুদ্রিক মাছ আহরণ ও বিক্রির সঙ্গে বাগেরহাটের লক্ষাধিক মানুষ জড়িত। গত দুইদিনে এখানে দশটি ট্রলারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মাছ বিক্রি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও আশানুরুপ মাছ উঠলে পাইকারি হাটটি মৌসুম জুড়েই সরগরম থাকবে।’  

টুটুল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়