ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সাগরে ধরা পড়ছে ইলিশ, আড়তে বরফ সংকট

পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ২৬ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১৯:৩৬, ২৬ জুলাই ২০২২
সাগরে ধরা পড়ছে ইলিশ, আড়তে বরফ সংকট

সামুদ্রিক মাছের বাধাহীন প্রজননের জন্য গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার (২৩ জুলাই) মধ্যরাত থেকে গভীর সাগরে যাত্রা করে শত শত মাছ ধরা ট্রলার। 

আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেল থেকে অনেক ট্রলার ফিরছে পটুয়াখালীর মহিপুর, আলীপুর, রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা মৎস্য আড়ত ঘাটে। বেশির ভাগ ট্রলার ফিরছে ইলিশ ভর্তি করে। ফলে পাইকারদের হাঁক-ডাকে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে মৎস্য আড়তে। 

তবে দিনে ৫-৭ বার লোডশেডিংয়ের ফলে চাহিদা অনুযায়ী বরফ পাচ্ছে না আড়ৎ মালিকরা। তাই মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মৎস্য আড়ৎ ঘাটে কম দামে ইলিশ বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। 

তবে আড়ৎ ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের প্রচুর সরবরাহ থাকলে দাম কমেনি। ১ কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়; ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ ৮৫০ টাকা কেজি দরে; ৫০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ ৫৫০ টাকায়; ছোট ইলিশ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সাগরে যাওয়া সব ট্রলার ফিরলে দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছে পাইকাররা।  
এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মাঝি আবু সায়েদ গাজী বলেন, ‘সাগরে যাওয়ার পর একবার জাল টেনেছি। এতেই ২০ মণ ইলিশ পেয়েছি। এ ছাড়া অন্যান্য কিছু মাছ পেয়েছি। আবহাওয়া কিছুটা খারাপ এবং সাগরে বেশি স্রোতও রয়েছে, তাই চলে এসেছি।’ 

আবহাওয়া কিছুটা ভালো হলেই আবারও গভীর সাগরে যাত্রা করবেন বলে জানান আবু সায়েদ গাজী। 

এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মাঝি মোকসেদুল বলেন, ‘সাগরে প্রচুর ইলিশ মিলছে। আবহাওয়ার অবস্থা দেখে চলে এসেছি। তবুও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ পেয়েছি। দামও মোটামুটি ভালো আছে।’ 

তিনি আশা করেন পরের ট্রিপে আরও বেশি ইলিশ পাবেন।   

আলীপুরের সাত ভাই ফিসের স্বত্বাধিকারী রাসেল মোল্লা জানান, ১ পিস বরফ তৈরি করতে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকা প্রয়োজন। দিনে ৫ থেকে ৭ বার লোডশেডিং হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী বরফকলের মালিকরা বরফ দিতে পারছে না। যার কারণে মাছ নরম হয়ে যায়। তাই একটু কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া বরফ সরবারহ না থাকায় অনেকে আবারও সাগরে যেতে পারছে না। 

একই এলাকার জমজম বরফ কলের মালিক কবির মিয়া আড়ৎ ঘাটে লোডশেডিং না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। 

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম আহজারুল ইসলাম জানান, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় নির্বিঘ্নে প্রজনন হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় জেলেরা আরও বেশি মাছ ধরা পড়ছে। 
 

ইমরান/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়