জব্দ কারেন্ট জাল পোড়ানোর সময় দগ্ধ ৩, অবরুদ্ধ কর্মকর্তা

শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ মাছ ধরার চায়না ও কারেন্ট জাল জব্দ করে পোড়ানোর সময় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ৩ জন।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ইলশাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ ৩ জন হলেন- মো. ইয়াকুব আলী, মো. ছাউদ মিয়া ও মো. জবেদ আলী। তারা ৩ জনই বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।  

অন্যদিকে ওই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

স্থানীয় ও আহতদের স্বজনরা জানায়, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে মঙ্গলবার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জল মোহাম্মদ হোসাইন, জেলা মৎস্য অফিসের সহকারী পরিচালক সুলতানা লায়লা তাসনীম ও সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মমতাজুন্নেছাসহ সংশ্লিষ্টরা শেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চায়নাদুয়ারী ও কারেন্ট জালসহ ১০টি অবৈধ জাল জব্দ করেন।

পরে সেগুলো ভাতশালা ইউনিয়নের ইলশাঘাট এলাকায় নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ফেলার উদ্যোগ নেন। ওই সময় স্থানীয় ইয়াকুব আলী, ছাউদ মিয়া ও জবেদ আলী সেগুলো পুড়ানোর জন্য সহযোগিতা করতে পেট্রোল ও ডিজেল ঢালেন। তবে তারা নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার আগেই কেউ একজন জালে আগুন ধরিয়ে দিলে ওই ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তাদের পাশে নদীর পানিতে চুবিয়ে আগুন নিভিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।

এদিকে এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ভাতশালা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার ও অতিরিক্ত পুলিশ স্থানীয় অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে বিক্ষুব্ধ স্থানীয়দের শান্ত করে তাদের উদ্ধার করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হান্নান মিয়া বলেন, জনতা রাস্তা অবরোধ করে তাদের আবেগ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য। আমরা বিষয়টা দেখার আশ্বাস দিলে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।