ট্রলারে এলো ৭৫ মণ ইলিশ, ১৮ লাখে বিক্রি
বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ইলিশ
সমুদ্র থেকে মাছ নিয়ে ‘এফবি সাফওয়ান’ নামের একটি ট্রলার পাথরঘাটার মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে ফেরে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে। এ সময় ট্রলারটিতে ৭৫ মণ ইলিশ ছিল। কিন্তু পাইকাররা সঠিক দাম না বলায় ট্রলারটি চলে যায় বাগেরহাটে। সেখানকার পাইকাররা ৬০০ টাকা কেজি দরে মোট ১৮ লাখ টাকায় মাছগুলো কিনে নেন।
‘এফবি সাফওয়ান’ ট্রলারের মালিক পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পরিচালক লুৎফর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সাফওয়ান ট্রলারটি ৭৫ মণ ইলিশ নিয়ে ঘাটে আসার পর হইচই শুরু হয়ে যায়। ইলিশ গুলো বেশিরভাগ ৬০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ২০০/৩০০ গ্রাম পর্যন্ত। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাইকাররা কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা করে দাম হাকায়। কিন্তু ট্রলার মালিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাইকারদের কাছে মাছ বিক্রি না করে বাগেরহাট নিয়ে বিক্রি করেন ৬০০ টাকা কেজি দরে।’
সাফওয়ান ট্রলারের মাঝি মো. মহসিন মিয়া বলেন, ‘তিন বছর পরে সোমবার (১ আগস্ট) একবার জাল ফেলে ৭৫ মণ ইলিশ পেয়েছি। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় জাল ফেলে রূপালী ইলিশ পেয়েছি আমরা।’
ট্রলারের মালিক ও পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির মুঠোফোনে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার শেষে আশানুরূপ মাছ পাইনি। এবার একবার জাল ফেলেই ৭৫ মণ ইলিশ পেয়েছে আমার জেলেরা। আমি তাদের পুরস্কৃত করবো।’
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বৃষ্টি কম হওয়ায় পায়রা বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পানি এখনো লবণাক্ত। তাই এসব নদী ও নদী মোহনায় ইলিশ কম ধরা পড়ছে। ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফল হিসেবে গভীর বঙ্গোপসাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে জেলেদের জালে।
ইমরান/ মাসুদ
আরো পড়ুন