ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মামলার প্রতিবাদে মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন চালক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ৮ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ১৬:৪৩, ৮ আগস্ট ২০২২
মামলার প্রতিবাদে মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন চালক

(বাঁয়ে) আগুন ধরিয়ে দেওয়া মোটরসাইকেল। আশিক (ডানে)

মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহীতে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন আশিক আলী (২৫) নামে এক যুবক। 

সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে মহানগরীর কোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আশিকের বাড়ি মহানগরীর উপকণ্ঠ কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায়।তার বাবার নাম আসাদ আলী।

স্থানীয় লোকজন জানান, আশিক পেশায় একজন বালু ব্যবসায়ী। ছয়মাস আগে তিনি একটি মোটরসাইকেল কেনেন। সোমবার দুপুরে আশিকসহ তিনজন মোটরসাইকেলটিকে করে যাচ্ছিলেন। এসময় আশিকের মাথায় হেলমেট ছিল না। কোর্ট অকট্রয় মোড়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আবদুল কাইয়ুম আশিকের মোটরসাইকেলটিকে থামান। এ সময় সার্জেন্ট আশিকের কাছে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। এছাড়া তিনজন নিয়ে বাইক কেন চালাচ্ছেন এবং হেলমেট নেই কেন- জানতে চান সার্জেন্ট কাইয়ুম। 

এসময় সার্জেন্ট কাইয়ুমের সঙ্গে আশিকের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আশিক নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন পানি দিয়ে আগুন নেভান। তবে আগুন নেভানোর আগেই মোটরসাইকেলটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। 

স্থানীয় লোকজন আরো জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে আশিকের বাবা আসাদ আলী ঘটনাস্থলে আসেন। পরে আশিক ও তার বাবাকে ট্রাফিক অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।

সার্জেন্ট আবদুল কাইয়ুম বলেন, সড়ক আইন লঙ্ঘন করে আশিক মোটরসাইকেলে তিনজন বহন করছিলেন। তাদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। সে জন্য থামানো হয়। আশিকের কাছে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চাইলে তিনি সেটিও দিতে পারেননি। তাই মামলা দিয়ে গাড়িটি জব্দ করে ট্রাফিক অফিসে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। তখনই রেগে গিয়ে তিনি মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাঙ্কি খুলে আগুন ধরিয়ে দেন।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, দুপুরের দিকে কোর্ট অকট্রয় মোড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন আশিক। এসময় সেখানে কতর্ব্যরত সার্জেন্ট আবদুল কাইয়ুম তাকে থামতে বলেন। মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী ছিলেন। ট্রাফিক নিয়ম না মানার কারণে মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। একারণে বাইকটিও জব্দ করা হচ্ছিল। তখনই আশিক বাইকটিতে আগুন দিয়েছেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর সেখানে আশিকের বাবা উপস্থিত হন।  

আশিক ও তার বাবা আসাদ আলীকে ট্রাফিক অফিসে কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে রফিকুল আলম বলেন, এটা আমি জানি না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হয়তো তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান সেজন্যই হয়তো তাদের ট্রাফিক অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তানজিমুল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়