শ্যামনগর ও আশাশুনিতে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সাতক্ষীরার একটি ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ
ভারতের উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপের কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় তিন নম্বর সর্তকতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে ঝড়ো হাওয়ার প্রভাবে জেলার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির নদ-নদীতে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) বিকালে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী (রিপন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জুলফিকার আলী বলেন, ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে নদীতে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই দিন পর্যন্ত আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জেলার শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার। ওই ইউনিয়নের নাপিতখালি, গাবুরা, জেলেখালিসহ বিভিন্ন এলাকায় উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। ইতোমধ্যে নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে। জোয়ারের সময় বাঁধের কানায় কানায় পানি উঠছে।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম জানান, বুধবার সকাল থেকে হালকা থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদীতে জোয়ারের সময় বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। উপকূলীয় এলাকায় নদীর পানি বেড়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের ও পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো)-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ তালুকদার জানান, ৭৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূল জুড়ে থাকা ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া বাকি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শাহীন/ মাসুদ
আরো পড়ুন