শিক্ষা বোর্ডের ৭ কোটি টাকা লোপাটের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম
যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৭ কোটি টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত শেষে ঢাকায় ফিরেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টিম। গত বুধবার (১০ আগস্ট) ও বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) তদন্তকাজ শেষে শনিবার (১৩ আগস্ট) তারা ঢাকায় ফিরে যান। জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কমিটির সদস্যরা।
২০২১ সালের ৭ অক্টোবর যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩৮টি চেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমেই দুদক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় ৫ জনকে। এরা হলেন তৎকালীন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজা, কর্মচারী আব্দুস সালাম, জালিয়াতি চক্রের প্রধান ভেনাস প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটী জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম।
চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ গত ১৪ জুলাই কর্মচারী আবদুস সালামকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে। সালামকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করার পর চেক জালিয়াতির ঘটনায় তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। এতে বোর্ডের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। বুধবার (১০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নির্দেশে ঢাকার পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমত পীরের নেতৃত্বে দুই সদস্যর টিম বোর্ডে তদন্তে আসেন। তারা বর্তমান চেয়ারম্যান, সচিব, অডিট অফিসার, হিসাব শাখার উপপরিচালকের সাথে নানা বিষয়ে কথাবার্তা বলেছেন। এবং হিসাবের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।
বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা শাখার উপপরিচালক এমদাদুল হক বলেন, তদন্ত শেষ হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রফেসর যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বোর্ডে সকল অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্ত করতে দুই সদস্যর কমিটি তাদের কাজ শেষে ঢাকায় ফিরে গেছেন। আমরা চায় এ তদন্তের মাধ্যমে চেকজালিয়াতির ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীরা সামনে আসুক। তাদের শাস্তি হোক।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমত পীর জানান, যশোর শিক্ষা বোর্ডে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনার সত্যতা মিলেছে। কর্মচারী আবদুস সালামের সাথে জড়িত অন্যদেরও খুঁজে বের করা হবে। শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন।
রিটন/বকুল
আরো পড়ুন