ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বরগুনায় ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন 

বরগুনা প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১১, ১৬ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ১৭:১৫, ১৬ আগস্ট ২০২২
বরগুনায় ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন 

সোমবার বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়

বরগুনায় শোক দিবসে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ‌্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সামনেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মেহেদী হাসান রাইজিংবিডিকে এ তথ‌্য নিশ্চিত করে জানান, গতকাল শোক দিবসের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিলো। এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তবে এর আগে গতকাল (১৫ আগস্ট) রাতে বরগুনা প্রেসক্লাবে শোকসভা অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু পুলিশকে দায়ী করেন। তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোহাররম আলীকে বরখাস্ত করার দাবি জানান।

তিনি বলেন, আমরা চাই, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখুক এবং তাকে বিচারের আওতায় আনুক। আমি যেখানে উপস্থিত সেখানে তিনি এমন কাজ করতে পারেন না। আমি তাকে মারপিট করতে নিষেধ করেছিলাম। তারা (পুলিশ) আমার কথা শোনেনি।

আরও পড়ুন: শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬০

সদ্য ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের পরামর্শ ছাড়াই জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনের আগে কাউন্সিল বাধ‌্যতামূলক, এ কমিটি দেওয়ার আগে সেটাও করা হয়নি। ছাত্রলীগ করতে যে ৫ শর্তের কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সে শর্তগুলো কমিটিতে মানা হয়নি৷ আমরা আমাদের রাজনৈতিক অভিবাভকদের বিষয়টি জানিয়েছি। সেখান থেকে নির্দেশনা আসার অপেক্ষা করছি। 

এসব বিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন রাইজিংবিডিকে বলেন, আমাদের ওপরে পরিকল্পিতভাবে হামলা করে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু সন্ত্রাসীরা। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ও তদন্ত কমিটির প্রধান এস এম তারেক রহমানের বক্তব‌্য নিতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। 

প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আহত হন ৬০ জন।

ইমরান হোসেন/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়