ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নির্যাতন, ভাইস চেয়ারম্যানের মিমাংসার চেষ্টা

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ১৯ আগস্ট ২০২২  
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নির্যাতন, ভাইস চেয়ারম্যানের মিমাংসার চেষ্টা

ঢাকার সাভারে একটি মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১০ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের নির্লিপ্ততায় প্রভাবশালীরা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। 

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী মিনহাজের (১০) বাবা মো. মাসুদ। বিষয়টি মিমাংসার জন্য তাকে উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে ডেকে আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বাইপাইল বসুন্ধরা এলাকার দারুল কুরআন তালিমুল ইসলাম মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

মো. মাসুদ বলেন, ‘৭ দিন আগে আমার ছেলেকে বসুন্ধরা এলাকার হাবিবুর রহমান হুজুরের মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেই। গত বুধবার সন্ধ্যায় হাবিবুর রহমান হুজুর আমার ছেলেকে পড়া জিজ্ঞেস করেন। পড়া না পারায় তিনি মিনহাজকে বাশের কঞ্চি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছেন। এরপর তারাই মিনহাজের চিকিৎসা করায়।’

‘গতকাল রাতে থানায় গিয়েছিলাম অভিযোগ করতে। তখন ডিউটি অফিসার ও  এলাকার লোকজন ঘটনা মিলমিশ করতে বলে। পরে আজ ভাইস চেয়ারম্যানের অফিসে মিমাংসার জন্য আসছি।’ বলেন মো. মাসুদ। 

এ দিকে শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা স্বীকার করলেও বিস্তারিত জানার আগেই ফোন রেখে দেন অভিযুক্ত এইচজিএম হাবিবুর রহমান। তিনি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। তবে ফোন রেখে দেওয়ার আগে ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ছেলেটা মাদ্রাসার পাশে বিদ্যুতের খুঁটি বেয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। তখন একজন তাকে দেখে ধরে নিয়ে আসে। রাগের মাথায় তাকে ৫-৭টা বাড়ি দেওয়া হয়েছে। কারণ একটা বিপদ তো হতে পারতো। পরে গতকাল রাতে ওই ছেলের বাবা-মা এসে মাদ্রাসা থেকে তাকে নিয়েও গেছে। বিষয়টি মিমাংসার জন্য চেয়ারম্যান শাহাদাত ভাইয়ের অফিসে আসছি।’

তার বিরুদ্ধেই মারধরের অভিযোগ- এমন প্রশ্ন শুনে ফোন রেখে দেন তিনি। এরপর অনেকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। 

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘গতকাল রাতে মারধরের অভিযোগ নিয়ে ছেলের বাবা-মা এসেছিলেন। তারা জিডির কপি নিয়েছিলেন লেখার জন্য। কিন্তু জিডি না করেই চলে গেছেন। তবে তারা এখন আসলে অভিযোগ নেব।’

কপি জমা না দিয়ে ভুক্তভোগী কীভাবে চলে গেল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনেক লোকজন ছিলো তো, খেয়াল করতে পারিনি।’

ভুক্তভোগীকে আইনি সহায়তা না দিয়ে মিমাংসার পরামর্শ কেন দিয়েছেন এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি আব্দুল আউয়াল। 

এ দিকে সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন খান বলেন, ‘বাচ্চাটা কারেন্টের পোল বাইয়া পলাইতে গেছিল। পরে মাদ্রাসার হুজুর বাচ্চাটারে ৩-৪টা বাড়ি দিছে। আইজ আমার অফিসে ওইডা মিমাংসা কইরা দিছি।’

কীভাবে মিমাংসা করলেন জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন তিনি।

সাব্বির/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়