ইমোতে প্রেম, স্বামী রেখে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা

ভোলার লালমোহনে প্রেমিকের বাড়িতে এসে হাজির হয়েছে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। তবে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে প্রেমিক পিয়াস। এখন এ ছাত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে পিয়াসের পরিবার।

জানা গেছে, ঢাকার মাদারটেক এলাকার পরিবার নিয়ে থাকেন এ ছাত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমুতে প্রেম হয় উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নেছার ডোবাই ছেলে পিয়াসের সঙ্গে। প্রেম হওয়ার পর তাদের মধ্যে মোবাইলে কথাবার্তা চলতে থাকে। এরিমধ্যে ওই ছাত্রীর বাবা-মা ঢাকায় জীবন নামের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন।

বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করলেও ১৭ দিনের মাথায় শনিবার লঞ্চযোগে ভোলায় আসার পর বিকালে লালমোহন চলে আসে ওই ছাত্রী। পিয়াসের বাড়িতে এসে উঠলে সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাকে পিয়াসের বাবা-মা ঘরে আশ্রয় দিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন।

ওই ছাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের মেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে আসায় তাকে নিতে চাইছেন না। স্বামী জীবনও তার স্ত্রী পালিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে আসায় ফের ঘরে তুলতে অনীহা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে ওই ছাত্রী জানায়, তার সঙ্গে পিয়াসের সম্পর্ক আছে। কিন্তু ১৭ দিন আগে তারা বাবা-মা জোর করে তাকে বিয়ে দেন। সে বিয়েতে রাজি ছিল না। বিয়ের পরও পিয়াসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এবং ইমোতে তাদের প্রতিদিন কথা হতো। ইমোতে পিয়াস তার বাড়ির ঠিকানা দেওয়ার পর সে ঢাকা থেকে একা এসেছে।

কিশোরী তার বাবা-মায়ের কাছে না ফিরে পিয়াসকে বিয়ে করে তাদের বাড়িতেই থেকে যাবে বলেও জানায়।

এ ব্যাপারে পিয়াসের খালাতো ভাই রাফিজ জানান, মেয়েটির এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। এরপরও তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি বয়স হতো এবং মেয়েটির বিয়ে না হতো তাহলে আমরা পিয়াসের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করতাম। এখন কীভাবে বিয়ে দেব। আমরা থানা পুলিশ ও মেয়ের অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।