ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  
লক্ষ্মীপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন ১০ জন ইউপি সদস্য।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দের কাছে লিখিতভাবে তারা অনাস্থার বিষয়টি জানান। সেখানে তারা চেয়ারম্যানের বেপরোয়া আচরণ এবং প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎয়ের অভিযোগ তুলে ধরেন। যদিও অভিযুক্তের দাবি পুরোটাই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।

এ দিকে জেলা প্রশাসক বলছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে। প্রতিবেদন পেলেই নেবেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। 

অভিযোগে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থ বছরের অতি-দরিদ্রের কর্মসংস্থান খাতের ৮২ জন শ্রমিকের নামে ২৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা ওয়াহিদুর রহমান আত্মসাৎ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রকল্প কমিটির সভাপতি কিছুই জানেন না। টিআর, কাবিখার ১০ লাখ টাকা, ৭ মাসে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান নিজের কাছে রেখেছেন বলেও তাদের অভিযোগ। এসব ক্ষেত্রে কত টাকা জমা হয়েছে তাও নির্দিষ্টভাবে জানান না তিনি। জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে বেপরোয়া আচরণ করেন। 

ওয়াহিদুর রহমানের গাফিলতির কারণে ইতোমধ্যে উন্নয়ন খাতের ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বরাদ্দ ফেরত গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন কারণে এর আগেও তার বিরুদ্ধে অনাস্থা দেওয়া হয়েছিল বলে লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।  

পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন ময়ুর বলেন, ২৬ জানুয়ারি চেয়ারম্যান শপথ গ্রহণ করেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত  তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষদের সদস্যদের নিয়ে সভা করেননি। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করেন। বরাদ্দ সঠিকভাবে বণ্টন করেন না। আমাদের নামে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন। এসব অনিয়মের কারণেই বাধ্য হয়েই আমরা অনাস্থা দিয়েছি। 

ওয়াহিদুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়। ইউপি সচিব মিজানুর রহমান জনগণকে হয়রানি করছেন। আমি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। তিনি (সচিব) প্রলোভন দেখিয়ে সদস্যদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অনাস্থা দিয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সচিব মিজানুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান খামখেয়ালি-বেপরোয়া কথাবার্তা বলেন। তিনি কারো সঙ্গে সমন্বয় করেন না। এতে ইউনিয়নের লোকজন সেবা ও উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, অনাস্থার চিঠি পেয়েছি। একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দেওয়া হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। 

লিটন/তারা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়