অরক্ষিত রেলক্রসিং, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি
আবু নাঈম, পঞ্চগড় || রাইজিংবিডি.কম
গেটম্যান বিহীন রেলক্রসিংগুলোকে নিরাপদ করতে সতর্কতামূলক নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি: রাইজিংবিডি
যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঝলইহাট-আমলাহার সড়ক। এই সড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে সাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহন। চলাচলে আরোহীদের অতিক্রম করতে হয় একটি রেলক্রসিং। কিন্তু গেটম্যান না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন স্থানীয়রা।
সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের নয়নিবুরুজ রেল স্টেশন সংলগ্ন এই রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান না থাকায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। একই অবস্থা জেলার অভ্যন্তরে থাকা ১৭ কিলোমিটার রেলপথের ৮টি রেল ক্রসিংয়ে।
জানা গেছে, উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষের যাতায়াত সহজ করার জন্য ১৯৬৮ সালে রেল যোগাযোগ চালু হয়। সম্প্রতি রেলপথটির আধুনিক মানে উত্তরণ ঘটে। এক সময় লোকাল ট্রেন চলা এ রেলপথে এখন যুক্ত হয়েছে পঞ্চগড়-ঢাকা, পঞ্চগড়-রাজশাহী ও পঞ্চগড়-সান্তাহার রুটে পাঁচ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন। আধুনিক মানের এসব ট্রেনে যাত্রীরা স্বচ্ছন্দে গন্তব্যে পৌঁছালেও জেলার ৯টি রেলক্রসিংয়ের আটটিতেই নেই গেটম্যান।
নয়নিবুরুজ এলাকার হাসেম উদ্দীন জানান, গেটম্যান না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন পথচারীরা। অনেক সময় আমরাই গেটম্যানের দায়িত্ব পালন করি। কিছুদিন আগে একটি বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস অল্পের জন্য রক্ষা পায়।
টেঙ্গনমারী রেলগেট এলাকার পথচারী তোফিজুল ইসলাম বলেন, গেটম্যান ও কোন সিগন্যালের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় ট্রেন আসে-যায় বুঝা যায় না। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়।
সাইফুল ইসলাম শান্তি নামের আরেক পথচারী বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও চলাচল সহজ করতে দ্রুতই এসব রেলক্রসিংয়ে জনবল নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।
রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে প্রতিটি রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। গেটম্যান বিহীন রেলক্রসিংগুলোকে নিরাপদ করতে রেলপথের পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সতর্কতামূলক নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
/নাঈম/সাইফ/
আরো পড়ুন