ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দক্ষিণ পাঁঞ্জিপুথিপাড়া-কির্ত্তীপাশা সড়কে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া

অলোক সাহা, ঝালকাঠি   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৩, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১১:২৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
দক্ষিণ পাঁঞ্জিপুথিপাড়া-কির্ত্তীপাশা সড়কে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া

দীর্ঘ ২২ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি ঝালকাঠির পাঁঞ্জিপুথিপাড়া-কির্ত্তীপাশা সংযোগ সড়কের। ফলে ইটের সিলিং করা সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দক সৃষ্টি হয়ে ঘটছে ছোট বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। ফলে চরম ভোগন্তি নিয়ে চলাচল করছেন চারটি গ্রামের বাসিন্দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে সড়কটিতে ইটের সলিং করা হয়েছিলো। এরপরে সড়কটির উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। ইটগুলো এলোমেলো হয়ে খানা-খন্দকে ভরে গেছে প্রায় ৪কিলোমিটার রাস্তাটি। এখন সড়কের অবস্থা এতোটাই নাজুক যে, পায়ে হেটে চলাচল করাও মুশকিল। 

সড়কটির বর্ণনা দেন দক্ষিণ পাঞ্জিপুথিপাড়া গ্রামের  মো. হারুন। তিনি বলেন, আলীপুর, শশাংক, রমনাথ, নাপিতবাড়ি গ্রামের মানুষজন অনেক বছর ধরে কাঁদামাটি পার হয়ে ভাঙাচোরা সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় এ সড়কটি দিয়ে চলাচলের সময়। হোচট খেয়ে অনেক শিক্ষার্থীর বই-খাতা, জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। 

এলাকাবাসী জানান,অনেক অনুরোধের পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৯৯৯ সালের দিকে সড়কটিতে ইটের সলিং দেয়। সেই ইটের সলিংয়ের পরে আর কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এরই মধ্যে সড়কটির ৪ কিলোমিটারের মধ্যে শতাধিক পাকা ভবন উঠেছে। ভবনের নির্মাণ সামগ্রী বহনে বড় গাড়ি প্রবেশ করায় রাস্তাটি ভেঙে খানা খন্দক সৃষ্টি হয়েছে। সলিংয়ের ইট এলোমেলো হয়ে এখন এমন অবস্থা হয়েছে যা দিয়ে পায়ে হেটেও চলাচল করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। রাস্তার মধ্য দিয়ে চলতে গেলে উচু-নিচু ইটে পায়ে ধাক্কা লাগে  নখ পর্যন্ত উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এছাড়া ইটে শেওলা জন্মানোয় পা পিছলে ইতোমধ্যে অনেকে হোচটও খেয়েছেন। 

পিপলিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র বাপ্পী খান বলেন, ‘বাড়ি থেকে স্কুল অনেক দূরে। সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। শুকনো মৌসুমে কোনোভাবে সাইকেল চালিয়ে গেলেও বর্ষা মৌসুমে এই সড়কে চলাচল করতে ভয় লাগে। সাইকেল নিয়ে অনেকবার কাত হয়ে পড়ে আহতও হয়েছি।’ 

এমন দুর্ভোগের কথা শুধু স্কুল ছাত্র বাপ্পীর না ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী প্রত্যেকেরই রয়েছে দুর্ভোগের কারণে চরম ক্ষোভ আর হতাশা। 

এলাকাবাসী জানান, বর্তমান সরকার জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক। অনেক স্থানে লোকজনের চলাচল নেই, তবুও সেখানে রাস্তা সংস্কার হচ্ছে। পিচ ঢালাই পাকা সড়কও নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের জনগূরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। 

স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘সড়ক উন্নয়নে এলজিইডির সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। বরাদ্দ আসলেই টেন্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে বলে ইঞ্জিনিয়াররা আমাকে বলেছেন।’ 

এ বিষয়ে জানতে কির্ত্তিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহিম মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

ঝালকাঠি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন বলেন, ‘সদর উপজেলার দক্ষিণ পাঁজিপুথিপাড়া হয়ে কির্ত্তিপাশা সংযোগ সড়কটি অনকে পুরাতন। সেটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বরাদ্দ আসলেই টেন্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।’

মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়