পাবনা মানসিক হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু
পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পাবনা মানসিক হাসপাতাল
খাবার ও আর্থিক সংকটের কারণে ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাবনা মানসিক হাসপাতালে আবারো রোগী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে হাসপাতালের বহিঃবিভাগে ফ্রি বেডে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রতন কুমার রায়ের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, মানসিক হাসপাতাল, পাবনার স্মারক নং মহাপাপ/প্রশা/২০২২/২৩১৭ তারিখ: ১১/০৯/২০২২ইং মোতাবেক পত্র হাসপাতালে যে রোগী ভর্তি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করা হলো। হাসপাতালে বহির্বিভাগে পূর্বের ন্যায় রোগী ভর্তির কার্যক্রম চলমান রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর আগে খাবার ও আর্থিক সংকটের কারণে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ফ্রি বেডে রোগী ভর্তি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। একই সঙ্গে ফ্রি বেডে চিকিৎসাধীন রোগীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে পেইড বেডে রোগী ভর্তি চলছিল।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. রতন কুমার রায় সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রোগী ভর্তি বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বহির্বিভাগে দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসক ডা. এ কে এম শফিউল আযম বলেন, ‘পরিচালক স্যারের নির্দেশে আমরা ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলাম। আজকে (সোমবার) আবার স্যারের আরেক আদেশ পেয়ে ভর্তি কার্যক্রম আগের মত স্বাভাবিকভাবে করছি।’
হাসপাতালের পরিসংখ্যা সূত্রে জানা গেছে, ৫০০ শষ্যার এই হাসপাতালে এখন আনুমানিক ৪৮০ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ১৫০ জনের মতো পেইড বেডে ভর্তি। বাকি রোগীরা ফ্রি বেডের।
হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. রতন কুমার রায় বলেন, ‘আমরা অনেকবার বিষয়টি সমাধানের জন্য ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, কিন্তু লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে আমরা রোগী ভর্তি বন্ধ রেখেছিলাম। আমরা চাই দ্রুত বিষয়টি সমাধান হোক। রোববার রোগী ভর্তি বন্ধ করার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। ফলে আজকে থেকে আবারও রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন ২০২১ রোজ এন্টারপ্রাইজ নামে পাবনা মানসিক হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে দ্রব্যের নাম উল্লেখ করা জটিলতা নিয়ে পাবনা জজ কোর্টে একটি মামলা করে। আদালত ওই বছরের ২৯ জুন বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিবাদীর বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করলে শুরু হয় জটিলতা।
শাহীন/ মাসুদ
আরো পড়ুন