ইউপি চেয়ারম্যানের-মেম্বারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সালিশের কথা বলে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মলয় নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো ওই কিশোরীর। গত জানুয়ারি মাসে মলয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তিনি। পরবর্তীতে প্রেমিক মলয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দীর্ঘদিন কারাবাসের পর সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়ে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নেয় মলয়। বিষয়টি জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মলয়ের বাড়িতে উঠেন ওই কিশোরী।

মলয়ের পরিবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টুকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নান্টু মলয়ের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে দেওয়ার কথা বলে কিশোরীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

শুক্রবার সকালে সালিশের কথা বলে ওই কিশোরীকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ইউপি চেয়ারম্যান নান্টু ও তার পরিষদের মেম্বার (ইউপি সদস্য) দেবব্রত দাস মাতবর ধর্ষণ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী থানায় এসেছিল। মহিলা পুলিশের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার ওই কিশোরীকে শ্লীলতাহানি করেছে। বিষয়টি আমরা যাচাই বাচাই করছি।’