এক নৌকায় মিলল ১৩০ মণ ইলিশ, ২৫ লাখে বিক্রি

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক নৌকায় ১৩০ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। পরে মাছগুলো নিলামে ২৪ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়। একসঙ্গে এত মাছ পেয়ে এবং ভালো দাম পাওয়ায় খুশি জেলেরা।

জানা যায়, ভোলার মনপুরা উপজেলার মো. জহির উদ্দিন মা আয়েশা-২ নামের ট্রলারের প্রধান মাঝি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের মধ্যেই ২১ জন মিলে উত্তাল সাগরে মাছ ধরেছেন। মাত্র পাঁচ দিনে পেয়েছেন ১৩০ মণ ইলিশ।

জেলে গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ায় সাহস করে মাছ ধরেছি। বাতাস কম ছিল তাই জাল ফেলতে পেরেছি। প্রচুর মাছ পেয়েছি।’

শাহীন নামের আরেক জেলে বলেন, ‘৩ নম্বর সংকেতের কথা শুনে অনেক ট্রলার কূলে এসে গেছে। কিন্তু আমরা আসিনি। বাতাস কম থাকায় আমরা সাগরেই ছিলাম। প্রথম জাল ফেলার পর মাছ কম পেয়েছি। পরের বার প্রচুর মাছ পেয়েছি। এভাবে ৪-৫ দিন মাছ ধরে কূলে এসেছি।’

আব্দুল মালেক নামের আরেকজন বলেন, ‘বিভিন্ন সাইজের মাছ ধরা পড়েছে। এক কেজি সাইজের মাছের মণ ৩০ হাজার টাকা করে পাই। আধা কেজির থেকে কম ওজনের মাছ আমরা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা পাই।’

প্রধান মাঝি মো. জহির উদ্দিন বলেন, ‘ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা গত বছর থেকে ১০ দিন এগিয়ে দিয়েছে সরকার। আমরা প্রথম সিজনে কোনও মাছ পাইনি। এখন যা কিছু মাছ পাচ্ছি তা দিয়ে ধার দেনা দিব। তেলের দাম বেশি হওয়ায় খরচ বেড়েছে। কিন্তু সরকার নিষেধাজ্ঞা এগিয়ে দিয়ে আমাদের ক্ষতি করল।’

হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া বলেন, ‘জহির উদ্দিন মাঝি ১৩০ মণ ইলিশ পেয়েছেন। নিলামে যার দাম গড়ে ১৯ হাজার টাকা করে ২৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা উঠেছে। মাছগুলো বড় বড় এবং দেখতে সুন্দর।’