ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘বাবু ডাইং’ বেড়ানোর দারুণ স্পট

মেহেদী হাসান শিয়াম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১১:১৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
‘বাবু ডাইং’ বেড়ানোর দারুণ স্পট

বাবু ডাইং

অপূর্ব বনভূমি, নাম ‘বাবু ডাইং’। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে কয়েকশ একর খাস জমিতে গড়ে উঠা এ বনভূমি যে কাউকেই আকর্ষণ করে। 

সবুজের নৈসর্গিক লীলাভূমি ‘বাবু ডাইং’-এ বছরজুড়ে অনেক দর্শনার্থী ঘুরতে আসেন। তবে শীতকালে পর্যটকদের আনোগোনা বেশি দেখা যায়। তাই এ জায়গাটিকে পিকনিক স্পট হিসেবেও চেনেন এখানকার মানুষ। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় প্রকৃতির কাছে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

উচু কয়েকটি টিলার জন্যই এক সময়ের বাবুডাঙ্গা এখন আঞ্চলিক ভাবে ‘বাবু ডাইং’ নামে পরিচিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নে টিলাগুলোর অবস্থান। ছোট-বড় ২৬টি টিলার সমন্বয়ে গঠিত বাবু ডাইংয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে এলাকাটির সৌন্দর্যকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)।

বাবু ডাইং এলাকায় বিএমডিএ প্রায় দেড় লাখেরও বেশি গাছ রোপণ করেছে। পাশাপাশি পাঁচটি পুকুরও খনন করে তারা। এ ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ হ্রদে একটি ক্রসড্যাম নির্মাণ করে। এই হ্রদের পানি জমিতে সেচের কাজে ব্যবহার করছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা। 

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে বনোভোজন বা বেড়াতে বাবু ডাইংয়ে আসেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় বিশেষ করে সুপেয় পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের।  এছাড়া আরো একটি বড় সমস্যা হলো দর্শনার্থীদের নিরাপত্তাহীনতা।  এখানে ঘুরতে এসে বখাটেদের হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেক দর্শনার্থী। 

জাল কাগজপত্র তৈরী করে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি বর্তমানে সবুজের নৈসর্গিক লীলাভূমি বাবু ডাইংয়ের অনেক জমি দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়  বাসিন্দারা জ্বালানি ও বিক্রির জন্য গাছ কেটে বনাঞ্চলটি ক্ষতবিক্ষত করে ফেলছেন বলেও জানা গেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বাবু ডাইং এলাকায় কিছু নলকূপ ও টয়টেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএমডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিএমডিএ’র পক্ষ থেকে কিছু কাজু বাদামের গাছ লাগাতে গিয়ে স্থানীয়দের আক্রমণাত্মক ভাষার শিকার হই। তারা জমি দখল করে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে জবর দখল করে আছে।'

তিনি আরও বলেন, ‘এ এলাকায় বসবাসকারীরা গাছ কাটছে। ওই জায়গায় অনেক গাছ রোপণ করার পর আর বেড়ে উঠার সুযোগ পাই না।  এছাড়া গরুতেও চারাগুলো খেয়ে নেয়।’

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়