বাগেরহাটে পুকুরে বিষ, প্রতিবাদে মানবপ্রাচীর
বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ঘষিয়াখালীতে একমাত্র মিঠাপানির উৎস্য তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন পুকুরে বিষ দিয়ে পানি দূষিত করার প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে পুকুরের চারপাশে মানবপ্রচীর তৈরি করে তারা এ প্রতিবাদ জানায়।
তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘষিয়াখালী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এই মানবপ্রচীর তৈরি করে। বেশ কিছুদিন ধরে পুকুরের পানি ব্যবহার উপযোগী না-থাকার প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি নিয়েছে বলে জানা গেছে।
লবণপানি অধ্যুষিত বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ঘষিয়াখালী, শনিরজোড়, ঢালিপাড়া, ডেনাতলা, উত্তর ফুলহাতা, কালিকাবাড়ী, জিয়ালবাড়িসহ ১০ গ্রামের মানুষ ওই পুকুরের পানি পান ও রান্নার কাজে ব্যবহার করেন। এছাড়া পুকুরের আশপাশের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করা হতো। কিন্তু ১১ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের মাছ ধরে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ওই এলাকায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
এ দিকে ঘটনার দুইদিন পর তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল আহসান মোরেলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলেও বিষ প্রয়োগকারীদের সম্পর্কে কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ।
নাবিলা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, শুধু আমরা না, আশপাশের অনেক লোক এই পুকুরের পানি ব্যবহার করে। আমাদের এলাকার চারপাশের নদী ও খালে লবণপানি। যে কারণে আমাদের নানা ধরনের রোগ-ব্যধি হচ্ছে।
তোরাব মেমোরিয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোলায়মান হাওলাদার বলেন, পুকুরের পানি নষ্ট হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খুবই বিপাকে পড়েছে। তদন্তপূর্বক পুকুরে বিষ প্রয়োগকারীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
পুকুরের পানি পানের উপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানান এই শিক্ষক।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুকুরের পানি ব্যবহার উপযোগী করতে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। আশাকরি দু-একদিনের মধ্যে পুকুরে পানি ঠিক হবে।
টুটুল/তারা
আরো পড়ুন