ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নরসিংদী রেল স্টেশনে টিকিট যেন সোনার হরিণ

নরসিংদী সংবাবদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২  
নরসিংদী রেল স্টেশনে টিকিট যেন সোনার হরিণ

নরসিংদী রেল স্টেশনে ট্রেনের টিকেট পাওয়া এখন যাত্রীদের কাছে সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টারে শত সুপারিশ করলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত টিকেট।

নরসিংদীর ছয়টি উপজেলার যাত্রায়াতের প্রধান মাধ্যম নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখান থেকে ট্রেনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আসা-যাওয়া করে থাকে। কিন্তু কিছু সংখ্যক টিকিট বিক্রির পর কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে টিকিট নেই।

ট্রেনের টিকিট না পাওয়াতে ভূগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্টেশনের কালোবাজারি কুচক্রী মহল দ্বিগুণ, তিনগুণ, চারগুণ দামে টিকেট বিক্রি করছে। এবং যাত্রীদের তা বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত স্টেশন রেলের কিছু অসাধু কর্মচারী ও স্থানীয় কিছু নেতারা।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নরসিংদী থেকে ঢাকা যাবেন মেহেরনিগার ও মো. মিনহাজুল ইসলাম ওভি। তারা রাইজিংবিডিডটকমকে বলেন, ‘প্রতিদিন এ স্টেশন থেকে কাজের উদ্দেশে ঢাকা যেতে হয় কিন্তু বেশিরভাগ দিন টিকিট পাইনি। কাউন্টারে পৌঁছানোর আগেই সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে চোখে পড়ে এ সব টিকিট কিছু লোক ব্লাকে অতিরিক্ত টাকা বিক্রি করছেন। আবার কাউন্টারে টিকিট না দিলেও ট্রেনের ভিতরে টিটি, রেলপুলিশ ও তাদের নিয়োজিত এক শ্রেণির আদায়কারীর মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হয়। কিন্তু টিকিট পাই না। টিকিট না থাকায় স্টেশনে নেমে হয়রানির শিকার হতে হয়।’

অসুস্থ মাকে নিয়ে ঢাকা চিকিৎসা করাতে যাওয়া রানা রাইজিংবিডিডটকমকে বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট পাওয়া আমাদের মতো মানুষের জন্য এখন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে চেষ্টা করেও টিকিটও ব্যবস্থা করতে পারিনি। ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়ে ঠাসাঠাসি করে কীভাবে অসুস্থ মাকে নিয়ে যাব, তা বুঝতে পারছি না। কিন্তু আমরা টিকিট না পেলেও শুনেছি কিছু মানুষ ঠিকই ব্লাকে টিকিট কিনে আনছে। এটার সমাধান হওয়া দরকার।’

এ বিষয়ে নরসিংদী স্টেশন মাস্টার রাইজিংবিডিডটকমকে বলেন, ‘তিতাস, উপকূল, কালনী, চট্টলা এক্সপ্রেসসহ নরসিংদী রেল স্টেশন দিয়ে সব মিলিয়ে দিনে ১৪টি ট্রেন চলাচল করে। প্রতিটি ট্রেনের জন্য ১০ থেকে ১২টি টিকিট বরাদ্দ থাকে। আবারও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে সব সময় টিকিট দিতে পারি না। আমাদের টিকিটের সংখ্যা সীমিত। যতটুকু সম্ভব যাত্রীদের টিকিট দেয়ার চেষ্টা করি।’

তিনি জানান, প্রতিটি ট্রেনে টিকিট ছাড়া একশত থেকে দ্ইুশত যাত্রী যাত্রায়ত করে থাকে। তবে নরসিংদী স্টেশনে টিকিট কালোবাজারি হয়,  এটার বিষয়ে তার জানা নেই। 

হৃদয়/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়