ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নৈশপ্রহরীকে পেটানোর অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২  
নৈশপ্রহরীকে পেটানোর অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে

বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীকে (নৈশপ্রহরী) পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পালের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ( ২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এঘটনা ঘটে।

আহত কর্মচারী আলমগীর শেখ (৪৮) উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের নৈশপ্রহরী। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

জানা গেছে, আলমগীরের সঙ্গে পারিবারিক বিষয়ে কলহ চলছিল তার স্ত্রীর। এ কারণে আলমগীর তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। গত বুধবার আলমগীরের স্ত্রী শহিদা বেগম উপজেলা পরিষদে গিয়ে স্বামীর খোঁজ করেন। স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারিবারিক কলহের বিষয়টি জানান এবং স্বামীর বিরুদ্ধে নালিশ করে ফিরে যান।

আলমগীরের জামাতা মাসুদ ও মেয়ে লোপা খাতুন বলেন, ইউএনও অভিযোগ যাচাই বাছাই না করেই গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আনসার সদস্যদের মাধ্যমে আলমগীরকে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে স্ত্রী শহিদার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আলমগীরকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। ইউএনওর কক্ষ থেকে আলমগীর বের হয়ে উপজেলা পরিষদের মসজিদের সামনে রাস্তায় অচেতন হয়ে পরেন। খবর জানাজানি হলে স্থানীয় কিছু লোকজন সেখানে ভির করেন এবং আলমগীরকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও সমর কুমার পাল বলেন, ৭/৮ দিন ধরে আলমগীরের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝামেলা চলছিলো। সে তার স্ত্রীকে আমার অফিসের সামনে রেখে পালিয়ে যায়। আলমগীর তার স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের অফিসের মধ্যে রাতে থাকতেন এবং বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আসছিলো। এভাবে তিনি পরিষদের পরিবেশ নষ্ট করছিলেন। আমি বিষয়গুলো আগে জানতাম না।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এক বডিগার্ড এসে জানায়, আলমগীরের স্ত্রী আমাদের অফিসের নিচে পরে আছে। আলমগীরকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি তখন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, তার স্বামী গত কয়েক দিন ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। তার ভরণপোষণ করছে না। এরপর তাকে তার মেয়ের বাসায় সিএনজিতে করে পাঠিয়ে দেই। এরপর আলমগীর অফিসে আসলে তাকে ডেকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি উল্টাপাল্টা কথা বলা শুরু করেন। আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এবং এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে আলমগীরকে পারিবারিক সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অফিসে আসতে নিষেধ করি।’ 

ইউএনও অভিযোগ করে বলেন, ‘কোনো তৃতীয়পক্ষ সুযোগ নিয়ে আলমগীরকে ইন্ধন যুগিয়েছে। এরপর একটা নাটক সৃষ্টি করছে যে ইউএনও আমাকে মারধর করে বের দিয়েছে। এটা হচ্ছে আসল বিষয়। তৃতীয় পক্ষই এটাকে একটা গেম হিসেবে নিয়ে ইউএনওকে বিব্রত করার পায়তারা করছে। কারণ তাদের বেশ কিছু কাজে আমি বাধা দিয়েছি। যেটা তাদের ভালো লাগেনি।’

এনাম/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়