মেয়েদের জড়িয়ে ধরে রহিমা বললেন, ‘আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল’ 

টানা ২৯ দিন পর মেয়েদের কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূ রহিমা বেগম। এসময় মেয়েরাও তাকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে থাকেন। এসময় রহিমা বেগম জানান, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৭ আগস্ট তাকে নিজ বাড়ির কলঘর থেকে চার-পাঁচ জন লোক অপহরণ করে।

পড়ুন: রহিমা বেগমকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর

তবে এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান। এরপর রহিমা বেগমকে খুলনার আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার জবানবন্দী রেকর্ড করা হচ্ছে।

পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে সন্তানদের মুখোমুখি করা হয় রহিমা বেগমকে। এসময় তাকে ‘অপহরণ করা হয়েছে’ বলে দাবি করেন। 

পড়ুন: রহিমা বেগম সন্তানদের কাছে যেতে চাচ্ছেন না: পুলিশ

বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব বাংলাদেশ (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, শনিবার ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে উদ্ধারের পর থেকে কোন কথা বলছিলেন না রহিমা বেগম। বেলা ১টার দিকে তার সন্তানের মুখোমুখি আনা হয়। পরে তিনি অপহৃত হয়েছিলেন বলে দাবি করেন।

পড়ুন: খুলনার মরিয়ম মান্নানের মাকে ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার

রহিমার বরাত দিয়ে সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, রহিমা বেগমকে অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন। জমি-জমার বিরোধ থাকা কিবরিয়া, মহিউদ্দিনসহ কয়েক ব্যক্তি তার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন ও বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তাকে একহাজার টাকা দিয়ে ছেড়ে দেয়।

পড়ুন: নিখোঁজের ২৮ দিন পর মায়ের লাশ শনাক্তে খুলনা থেকে ময়মনসিংহে মরিয়ম

রহিমা বেগমের দাবি, তিনি কিছুই চিনতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে গোপালগঞ্জের মুকছেদপুর হয়ে পূর্ব পরিচিত ভাড়াটিয়ার ফরিদপুরের বোয়ালখালী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে যান। কিন্তু তার কাছে কোনও মোবাইল নম্বর না থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

পড়ুন: ‘আমরা শুধু মাকে চাই’

পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা রহিমা বেগমের বক্তব্য যাচাই-বাছাই করছি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।