ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে লড়বেন ২ মুক্তিযোদ্ধা

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  
জেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে লড়বেন ২ মুক্তিযোদ্ধা

ইলিয়াস আহমেদ ও মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু

রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু লড়ছেন চেয়াম্যান পদে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) শেষ দিনে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।

সন্ধায় চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থীসহ আটটি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ২৯ জন ও তিনটি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন। তিনি আরও জানান, জেলায় এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯৫ জন। এই ভোটার স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। 

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদের সঙ্গে লড়ছেন বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় মোছাদ্দেক হোসেন বাবলুকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পদে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলুকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ দিনেও তিনি তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেননি। তাই নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াস আহমেদের সঙ্গে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বিদ্রোহী প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকায় রোববার বিকেলে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সভা করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করেছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা সভা করে বাবলুকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি জেলা কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর ৭ নম্বর সদস্য ছিলেন।

তফশিল অনুযায়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর।

২০০০ সালে তৎকালীন সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এরপর প্রথমবারের মতো স্থানীয় এই সরকারে নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর। 
 

আমিরুল/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়