ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শেরপুর আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কার

শেরপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১১:৫৮, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
শেরপুর আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কার

হুমায়ুন কবির রুমান

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রুমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

বহিষ্কৃত হুমায়ুন কবির আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল (আনারস) মার্কার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচন করবেন। 

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বিকেল ৪টার দিকে শহরের উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের মিটিং বসে। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে এই বহিস্কার আদেশ দেওয়া হয়। 

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় দলীয় শঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন হুমায়ুন কবির। দলেন গঠনতন্ত্রের ৪৭ এর ১১ ধারায় বলা হয়েছে দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে যে নির্বাচন করবে তাকে জেলা আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করা ক্ষমতা রাখে। পরে বিষয়টি প্রেস রিলিজ আকারে দেওয়া হবে।

এদিকে এই বহিষ্কার আদেশকে অগণতান্ত্রিক ও দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শামসুল নাহার কামাল ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল খালেক। 

তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে মনোনয়ন দেয়নি, সমর্থন দিয়েছে। যদি দলীয় মনোনয়ন থাকতো তাহলে দলীয় প্রতিকেই নির্বাচন হতো।  সুতরাং রুমান হুমায়ুন কবির দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন এটি ঠিক নয়।

তারা আরও বলেন, গঠনতন্ত্রের ৪৭(ঙ) ধারা মতে বহিষ্কারের এখতিয়ার রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতির। অন্যকারো বহিষ্কার করার ক্ষমতা নেই। আমরা ওই মিটিং থেকে এই বহিষ্কার আদেশের বিরোধিতা করে ওয়াক আউট করেছি।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার মতে, এতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনেও হুমায়ুন কবিরকে এ ধরনের সভা ডেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ওই নির্বাচনে হুমায়ুন কবিরই পাস করেছিলেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মার্কা রাখেনি। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে অবাধ প্রতিযোগিতার সুযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

তারিকুল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়