ছুরিকাঘাতে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী পলাতক

পাবনার ঈশ্বরদীতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রুবেল হোসেন (২৮) পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পৌর এলাকার পশ্চিমটেংরী বাবুপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ সোনিয়া খাতুনের (২২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সোনিয়া খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে। তিনি ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। অভিযুক্ত রুবেল হোসেন একই এলাকার বাসিন্দা। হামিম নামের তাদের তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

বাড়ির মালিক একরাম আলী বুদু বলেন, ‘বুধবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ স্বজনরা এসে আমার বাসার দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। রাতে বাসায় রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করে তারা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮দিকে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা দেখে ভেতরে ঢুকে দেখতে পাই সোনিয়ার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এসময় তার পরনে বোরকা ছিল। গলা ও পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

নিহতের খালাতো বোন নারগিস খাতুন বলেন, ‘সোনিয়া আমাকে মোবাইলফোনে জানায় তার স্বামী রুবেল সৌদি আরব থেকে এসেছে। রুবেল আসার পর বুধবার দুপুরে তারা বাবুপাড়ায় বাসা ভাড়া নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় একজন ফোনে সোনিয়ার মৃত্যুর খবর জানায়।’

পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, ‘সোনিয়া খাতুনের গলায় ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় সিআইডি ও পিবিআই আলামত সংগ্রহ করেছে। কে, কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রুবেল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’