করোনাকালে বেড়েছে বাল্য বিয়ে, প্রতিরোধের আহ্বান

করোনাকালে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বাল্য বিয়ে বেড়ে গেছে। অভিভাবকদের একটি ভুল কন্যাশিশুদের সারা জীবনের কান্না হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই সবাইকে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। কন্যাশিশুকেও সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এর বিকল্প নেই।

জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে রাজশাহীতে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, বাল্য বিয়ের কারণে নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এখন প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করলে সহায্য পাওয়া যায়।

‘সময়ের অঙ্গীকার, কন্যাশিশুর অধিকার’— প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রাজশাহী মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের মানুষের ৪০ শতাংশ শিশু। এর অর্ধেক হলো কন্যাশিশু। একটা শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে তখন তাদের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকে না। কিন্তু শিশুটি জন্মের পর সমাজ ও পরিবার থেকে বৈষম্য শুরু হয়। তার মধ্যে কন্যাশিশুদের বরাবরই এ বৈষম্যের শিকার হতে হয়। কন্যাশিশুরা এমনভাবে বেড়ে ওঠে যে, তারা প্রতিবাদ করতে শেখে না এ কারণে তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্যাতিত হয়। এটি হতে দেওয়া যাবে না।

এখন সকল ক্ষেত্রে মেয়েরা ভালো করছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, মেয়েদের যদি সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হয়, তবে তারা দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন, রাজনীতি এবং খেলাধুলাতেও নারীদের অবদান লক্ষ্যণীয়। তারা দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক শবনম শিরিন। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা, রাজশাহী মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজগর আলী খান প্রমুখ।