ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আসছে শীত, জমে উঠতে শুরু করেছে পিঠা-পুলির বিক্রি

অমরেশ দত্ত জয়, চাঁদপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ২২ অক্টোবর ২০২২   আপডেট: ১৪:১৫, ২২ অক্টোবর ২০২২
আসছে শীত, জমে উঠতে শুরু করেছে পিঠা-পুলির বিক্রি

ভোজনপ্রিয় বঙালির খাবার তালিকায় পিঠা-পুলির স্থান শীর্ষেই বলা চলে। শীত এলে তো কথাই নেই। বাসাবাড়ির পাশাপাশি বাজারে পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে। প্রতিবারের মতো এবারও ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে শীত। আর এই আগমনী বার্তাতেই চাঁদপুর শহরের অলিতে গলিতে পিঠা-পুলি বিক্রির ধুম পড়েছে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে শহরের বাসস্ট্যান্ড, মিশন রোড, হাসান আলীর মাঠ, কালীবাড়িসহ বেশকিছু স্থান ঘুরে মৌসুমী পিঠা-পুলি বিক্রেতাদের দেখা যায়। তাদের কাছ থেকে সাধারণ ক্রেতাদের ভাপা পিঠা, চিতৈ পিঠা, ধুঁই পিঠা এবং গোল্লা পিঠা কিনে খেতে ও বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এসব পিঠা ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা দামে বিক্রি করতে দেখা দেছে বিক্রেতাদের।

অঙ্গিকার সংলগ্নে বসা মনোয়ারা বেগম নামে এক পিঠা বিক্রেতা বলেন, ‘আমি কয়েক বছর ধরে শীত আসলেই পিঠা বিক্রি শুরু করি। অলস বসে না থেকে পীঠা বিক্রির আয় দিয়ে সংসারে সহযোগিতা করি। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার পিঠা বিক্রি করতে পারি। মানুষ যখন এখানে দাঁড়িয়ে পিঠা খাই তখন খুব ভালো লাগে।’

মিশন রোডে বসেন মো. আনোয়ার হোসেন নামে আরেক পিঠা বিক্রেতা। তিনি বলেন, ‘সারা বছর অন্য কাজ করলেও শীতে আমি শুধু পিঠা বিক্রি করি। রাস্তার পাশে ভ্যানের ওপর পিঠা বিক্রি করি। তবে চেষ্টা করি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন উপায়ে পিঠা বিক্রি করতে।’

কালীবাড়ী পুলিশ বক্সের পেছনে বসা নূরে আলম বেপারী লিটন বলেন, ‘আমি প্রায় ২ যুগ ধরে পিঠা বিক্রি করি। শীতের পিঠার মধ্যে আমি শুধু চিতৈ পিঠা বিক্রি করি। আতপ চাউলের গুড়ার সঙ্গে প্রয়োজন মতো ময়দা, পানি ও লবন মিশিয়ে পিঠা তৈরি করি। এই পিঠা খাওয়ার জন্য কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, লাল মরিচ, শুকনা মরিচ, শুটকি ভত্তা, জলপাইয়ের চাটনি ও শর্শে বাটা দেই। ঠাণ্ডার রোগীরা আমার কাছে বেশি পিঠা খেতে আসেন। কেউ এখানে দাঁড়িয়ে খায় আবার কেউ পরিবারের জন্য বাসায় নিয়ে যায়। সরকার যদি আমাদের একটু প্রশিক্ষণ দিতো তাহলে হয়তো আমরা আরও নানা রকমের পিঠা-পুলি বিক্রি করতে পারতাম।’

পিঠাপ্রেমী সৌরভ, ফেরদৌসসহ আরও অনেকে বলেন, ‘বাড়িতে লোক না থাকায় বাধ্য হয়েই শখ মিটাতে রাস্তার পাশের এসব ভ্রাম্যমাণ মৌসুমী পিঠা বিক্রেতাদের কাছে ভিড় জমাতে হয়। পিঠা মুখরোচক হলেও এগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও নিরুপায় হয়ে পিঠা খাচ্ছি। এদেরকে নিয়ে সরকারের কাজ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করছি।

চাঁদপুরের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. আরিফুল হাসান বলেন, ‘শীতের আবহাওয়ায় শহরের ফুটপাতে বসা মৌসুমী নানা রকমের পিঠা বিক্রেতাদের নিয়ে আমরা দ্রুতই একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা করবো। এতে তারা কিভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পিঠা তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন সে সম্পর্কে ধারণা পাবেন। পাশাপাশি ভোক্তাদের সচেতন করতেও আমরা লিফলেট বিতরণসহ নানা কর্মসূচির উদ্যোগ নেবো।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়