ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পোয়া মাছ বেচে লাখপতি গণি

তারেকুর রহমান, কক্সবাজার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৬, ৯ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১২:৩৩, ৯ নভেম্বর ২০২২
পোয়া মাছ বেচে লাখপতি গণি

কথায় আছে আল্লাহ যারে দেয় তারে ছাপ্পর ফাইরা দেয়। কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেলে আবদুল গণি সেই কথারই প্রমাণ।

৩৮ বছর বয়সী জেলে আবদুল গণি সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তার জালে ধরা পড়ে ৩৪ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছ। সে মাছটি তিনি বিক্রি করেছিলেন ১০ লাখ টাকায়। দুই বছর পর ২০২০ সালের নভেম্বরে গণির জালে আরও একটি পোয়া মাছ ধরা পড়ে। সেটিও তিন বিক্রি করেন ৬ লাখ টাকায়। ঠিক এর দুই বছর পর ২০২২ সালের নভেম্বরে আবারো জোড়া পোয়া মাছ ধরলেন তিনি। 

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে তার জালে ধরা পড়ে লাখ টাকার দুটি বড় পোয়া মাছ। পরে মাছ দুটি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কিনে নেন কক্সবাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী ইশরাক সওদাগর।  

আবদুল গণি বলেন, ‘সোমবার বিকেলে দ্বীপের উত্তর মাথায় জাল ফেলে বাড়িতে চলে আসি। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় জাল তুলতে গিয়ে দেখি বড় দুটি পোয়া মাছ আটকা পড়েছে। একটির ওজন ৩০ কেজি ৪০০ গ্রাম। অপর ওজন ২৪ কেজি ৯০০ গ্রাম। মেয়েলি মাছ হওয়ায় আমি এ দুটিকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। পুরুষালি হলে মণ প্রতি ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারতাম।’ 

মাছের দাম এতো টাকা! টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে এ প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে। মাছগুলোতে এমন কী রয়েছে, যা এত দামে বিক্রি হচ্ছে? ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারেনি। তবে সবাই বলছেন, 'মাছের বায়ুথলি বা এয়ার ব্লাডার বা ফদানার কারণে এত দাম।

টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘টেকনাফ উপকূলে প্রতিবছর জেলেদের জালে এ ধরনের বড় বড় পোয়া মাছ ধরা পড়ে। এসব  বড় পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে এটির দাম বেশি হয়ে থাকে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের মেডিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট বা সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হওয়ায় মাছটির এতো বেশি কদর।’

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়