ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে শিশু ইমন হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ২২ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৪:২৮, ২২ নভেম্বর ২০২২
সিরাজগঞ্জে শিশু ইমন হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন 

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন (৬) হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

একই সঙ্গে বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. এরফান উল্লাহ এ রায় প্রদান করেন। 

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের এপিপি ওয়াছ করনী লকেট এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই রায় দিয়েছেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বেলকুচি উপজেলার চর মকিমপুর গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে ওসমান (২৫), কোরবান আলীর ছেলে সোহেল (২৫) , আব্দুস সোবহানের ছেলে কাওছার (২৪), তামাই গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে আল-আমিন (৩৫) ও হিরন (৩০)। 

আদালত এই মামলায় মো. আলহাজ ও গোলামকে মামলা থেকে খালাস প্রদান করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শিশু ইমনের বাবা চাঁন মিয়া মালয়েশিয়ায় থাকেন। চাঁন মিয়ার স্ত্রী মমতা খাতুন দুই সন্তান নিয়ে তার বাবার বাড়ি চর মকিমপুর গ্রামে বসবাস করছিলেন। মমতা খাতুন তার চাচা আলহাজ্ব আলীর নিকট থেকে জমি কেনার জন্য ৩০ হাজার টাকা বায়না দেন। পরবর্তীতে জমি রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে চাচা আলহাজ্ব আলী টাকা ফেরত দেননি।

এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। টাকা চাওয়ায় আলহাজ্ব আলী ও তার লোকজন মমতা খাতুনের ছেলের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে মমতা খাতুনের শিশু সন্তান ইমন নিখোঁজ হয়। এঘটনায় বেলকুচি থানায় সাধারন ডায়েরি করা হয়। 

পরবর্তীতে ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাড়ির পাশ্ববর্তী হাফেজ হাজীর একটি পরিত্যাক্ত প্রস্রাব খানার ভেতরে ইমনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত শিশু ইমনের চাচা সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বেলকুচি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।  যুক্তিতর্ক শেষে আজ ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

প্রসিকিউশন পক্ষে বিজ্ঞ অতিরিক্ত পি.পি অ্যাডভোকেট মো. ওয়াছ করনী লকেট ও বিজ্ঞ এ.পি.পি মো. মশিউর রহমান চৌধুরী মামলাটি পরিচালনা করেন। আসামি পক্ষে অ্যাড. মো. শওকাত হোসেন ও মো. ফরিদ আলম (আলমগীর) মামলাটি পরিচালনা করেন।

অদিত্য রাসেল/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়