‘অতি উৎসাহী’ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হবে: মিনু

বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের আগে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব অতি উৎসাহী পুলিশ মামলা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ভবিষ্যতে মামলা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও তাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

মিনু বলেন, ‘পুলিশ ভাইয়েরা আমাদের দেশের সন্তান। তাদের দায়িত্ব দেশের শান্তি বজায় রাখা। কিন্তু কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা বিএনপির সমাবেশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনারা অতি উৎসাহী হয়ে গণদুশমনে পরিণত হবেন না। যারা অতি উৎসাহী হয়ে মামলা, গ্রেপ্তার করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ভবিষ্যতে এই হয়রানির জন্য মামলা দায়ের করা হবে।’

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ সমন্বয় কমিটি এ আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মিজানুর রহমান মিনু।

তিনি বলেন, দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরে ইতোমধ্যে গণমসমাবেশ শেষ হয়েছে। ওই সমাবেশের আগে সরকার গাড়িঘোড়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু রাজশাহীর সমাবেশের আগে মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের এলাকাছাড়া করা হচ্ছে যেন তারা সংঘবদ্ধ হতে না পারে। সকল বিভাগীয় শহরকে ছাড়িয়ে রাজশাহীর গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এ জন্য যদি বুক থেকে তাজা রক্ত পিচঢালা পথে ঢেলে দিতে হয়, তাতেও নেতাকর্মীরা রাজি আছেন। 

মিনু বলেন, সমাবেশের আগে প্রতিটি উপজেলায় কর্মীদের বাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে। গায়েবী মামলা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজন দ্বারা কোথাও কোথাও অকারণে বোমা ফাটানো হচ্ছে, বোমা রেখে দেওয়া হচ্ছে এবং সাজানো মামলা দেওয়া হচ্ছে। লোকজন জানতেও পারছে না যে কি কারণে মামলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা শাহজাহান মিয়া, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ এমপি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।