ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশে হামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ৩০ নভেম্বর ২০২২  
ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশে হামলা

ফরিদপুরে প্রেসক্লাব চত্বরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা করা হয়েছে। এ সময় ককটেল নিক্ষেপ আর মঞ্চ ভাংচুর করায় সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে ‘পুলিশের মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা, পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে’ এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ফরিদপুর মহানগর শাখা। এতে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইউম জঙ্গী।

ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সমাবেশ উপলক্ষে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে ছোট আকারে মঞ্চ করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা তখনও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেনি। ওই সময় মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে বসা ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে হেলমেট ও  মুখে মাক্স পরা ৩০-৩৫ জন তরুণ লাঠি ও ইট নিয়ে সভাস্থলে হামলা করে। হামলাকারীরা ব্যানার ছিনিয়ে নেয়, চেয়ার ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।

এ সময় পুলিশ সিজান নামে ছাত্রদলের এক কর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। এ আটককে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের ধ্বস্তাধস্তি হয়।

পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ঘটনাস্থলে আসেন। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘এখানে আজ আমাদের যে সমাবেশ ছিল সেটা ছিল সাধারণ মানুষের উপরে, বিএনপির নেতাকর্মীদের উপরে সরকারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে, ১১ জন নেতা মারা গেছে তার বিরুদ্ধে। শান্তিপূর্ণ ছোট সমাবেশ করতে এসে আমরা হামলার শিকার হলাম।’ 

শামা ওবায়েদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত বিএনপির ১১ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে। তার প্রতিবাদে গত চারদিন আগে আমরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছি। পুলিশের তত্ত্বাবধানে ছাত্রলীগ-যুবলীগ এ হামলা করেছে। আমরা দেখেছি তারা বিভিন্ন জায়গায় ককটেল রেখে গায়েবী মামলা দিচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তারা ফরিদপুরে প্রেসক্লাবে ককটেল ফাটিয়ে আমাদের লোকদের ধরপাকড় করেছে।’ 

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন বলেন, হামলায় দিলিপসহ তাদের অন্তত ৮ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ রিতু, কামাল, রাজীব ও সিজানসহ বেশ কয়েকজন তরুণ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ফরিদপুর বিএনপি শামা ওবায়েদ ও নায়াব ইউসুফ এই দুই ভাগে বিভক্ত। তাদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ থেকে সভাস্থলে হামলা ও ভাংচুর হয়েছে।

তিনি বলেন, হামলা ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ১১টি শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিরব/বকুল 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়