ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পরিবহন ধর্মঘটে যাত্রীদের ভোগান্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ২ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৬:১৪, ২ ডিসেম্বর ২০২২
পরিবহন ধর্মঘটে যাত্রীদের ভোগান্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। ফলে সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া যাত্রীরা। 

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সড়কে বেড়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দাপট। আর এসব বাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।

 খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ সংশোধন, মহাসড়কে অবৈধযান বন্ধ ও জ্বালানি তেল এবং যন্ত্রাংশের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন মালিকগ্রুপ। 

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ইউসুফ আলী নামের এক অটোরিকশা চালক বলেন, ‘সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। যাত্রীদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গোদাগাড়ী পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। এরপরই পুলিশ বাঁধা দিচ্ছে।’

আব্দুল্লাহ নামের একজন বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বয়স্ক মানুষদের ভোগান্তি বেড়েছে। গন্তব্যে পৌঁছাতে একাধিকবার গাড়ি বদলাতে হচ্ছে তাদের। গাড়ি না পেয়ে অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন। এছাড়াও প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের।’

সরজমিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিশ্বরোডে গিয়ে দেখা যায়, সিএনজি ও অটো চালকদের ধরে মামলা দিচ্ছে পুলিশ। চালকদের দাবি- রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশে লোক নিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

জসিম উদ্দিন নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালক বলেন, ‘রাজশাহীতে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের নিয়ে রওনা হওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশ দাঁড় করাই। আমার গাড়ির সব কাগজপত্র থাকলেও, আড়াই হাজার টাকার মামলা দিয়েছে পুলিশ। সব মিলিয়ে এমন পরিস্থিতি ওই টাকাগুলো দিতেই সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। গাড়ি চালিয়ে টাকা শোধ করতে হবে। এগুলাই যদি করবো, তাহলে আমার সংসার কে চালিয়ে দেবে।’

এদিকে রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে সরকার কৌশল করে বাস ধর্মঘটের ব্যবস্থা করেছে বলে দাবি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাদের। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বয়াক গোলাম জাকারিয়া বলেন, ‘রাজশাহীর বিএনপির গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকাতে সরকার নানা কয়দা কৌশল করে পরিবহনের মালিকগ্রুপ দিয়ে ধর্মঘট শুরু করেছে। অটোরিকশা ও সিএনজিগুলোকে যাত্রী পরিবহনে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান নান্নু বলেন, ‘ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ সংশোধন, মহাসড়কে অবৈধযান বন্ধ ও জ্বালানি তেল এবং যন্ত্রাংশের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাস মালিক-শ্রমিকদের। দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ট্টাফিক পুলিশের পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘অবৈধ পরিবহন গুলোকে মামলা ও জরিমানা করা হচ্ছে। যখন সড়কে এসব যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যায় তখন জরিমানা করা হয়।’

উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে  আন্তঃজেলা ও দেশের বিভিন্ন  রুটে  প্রায় তিন শতাধিকের বেশি বাস চলাচল করে।

মেহেদী/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়