বিএনপি ফন্দিফিকিরের চিন্তা করে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বিএনপি বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল। সেজন্যই তারা নানা ধরনের ফন্দিফিকির ও নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের চিন্তা করেন। যেটা আওয়ামী লীগ কখনোই চিন্তা করে না। আওয়ামীলীগ সবসময়ই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।’

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার নবনির্মিতি ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নাকি লাখ লাখ লোক নিয়ে ঢাকায় আসবে। রাজধানীকে অচল করে দেবে। সরকার পতনের দাবি তুলবে। সেজন্যই তারা চাল ডাল নিয়ে ওখানেই (দলীয় কার্যালয়ে) বসবাস করবেন। ওখানেই থাকবেন। বিএনপির মুখপাত্র বলেছেন, ওখান থেকেই তারা নাকি সরকার পতনের ডাক দেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের অনুষ্ঠান এগিয়ে এনে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি'র সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান খালি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সার্বিক বিবেচনায় পুলিশ কমিশনার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়াপল্টনে সমাবেশ করলে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট বিবেচনায় যা যা করণীয় পুলিশ কমিশনার তাই করবেন।’

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, পিবিআই হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আল মামুন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈম প্রমুখ।

পরে থানা মাঠে আয়োজিত সুধি সমাবেশ অংশ নেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। সেখানে তিনি ‘নবযাত্রা’ ও ‘প্রচেষ্টা’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সালে শায়েস্তাগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর থেকে পৌরসভার উদয়ন আবাসিক এলাকায় ভাড়াকরা ভবনে থানার কার্যক্রম চলে। এরমধ্যে ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ একই এলাকায় থানার নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণ করা হয় প্রায় ১৫৭ শতক জমি। ৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মেসার্স মোস্তফা কামাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৬তলা ভবনের ৪ তলা নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০২০ সালের জুন মাসের ভেতরে নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু করোনার কারণে বিলম্ব হয়। অবশেষে আজ নতুন  থানা ভবনের উদ্বোধন করা হলো।