ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

খড়কুটোর আগুন দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৩, ৮ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১১:১৭, ৮ জানুয়ারি ২০২৩
খড়কুটোর আগুন দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা

দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা বিরাজ করছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। ফলে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় পরার পাশাপাশি খড়কুটোয় আগুন ধরিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষজন।

রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

এদিকে, তাপমাত্রার অবনতি আর হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস সহজেই কাবু করছে এখানকার মানুষদের। বিশেষ করে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবীদের। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। ফলে শ্রমজীবিরা সময়মত কাজে যেতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারও বাড়ছে শীতের দাপট।

এদিকে বিপাকে রয়েছেন যানবাহন চালকরাও। তাদেরকেও সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা বাজারের মুদি দোকানদার সম্রাট হোসেন বলেন, ‘দোকানের ভেতরেও ঠাণ্ডায় থাকা যায় না। বাইরে তো হাড়কাঁপুনি শীত। তাই কয়েকজনকে নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত তাড়ানোর চেষ্টা করছি।‘

তালমা এলাকার রিকশা চালক আশরাফুল বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে খুব অসুবিধায় আছি। ভাড়া আয় রোজগার তেমন নেই। অন্যান্য সময় দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হতো, কিন্তু ঠান্ডার কারণে মানুষ রিকশায় চড়তে চান না। সকাল সকাল বের হওয়া কঠিন। এখন দিনে ২০০ টাকা আয় করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

অন্যদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এসব রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এ অবস্থায় শিশুদের বাঁশি খাবার পরিহার করা, খাবার ঢেকে রাখা এবং রাতে শিশুকে নিয়ে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, কয়েকদিন ধরেই জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রার অবনতি আর উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীত বেড়েছে এখানে। তাপমাত্রার আরও অবনতি হয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

আবু নাঈম/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়