প্রেম করতে মোবাইলের জন্য বন্ধুকে হত্যা : পুলিশ 

বরগুনার বামনায় আব্দুর রহিম হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে বামনা থানা পুলিশ। হত্যার কারণ জানতে পেরে পুলিশ চমকে গিয়েছে। হতবাক হয়েছে রহিমের পরিবারসহ সবাই। 

প্রেমিকার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে রহিমের বন্ধু রুবেলের একটি মোবাইল ফোন দরকার ছিল। আর সেই মোবাইলের জন্যই রহিমকে হত্যা করে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় রুবেল।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম।

খুনের অভিযোগে গ্রেফতার রুবেল হাওলাদার (১৭) দক্ষিণ গুদিঘাটা গ্রামের খলিল হাওলাদারের ছেলে ও মাদারতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বামনা থানা পুলিশ জানায়, আলাউদ্দিন ও রুবেল পরস্পর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। রুবেল তার এক প্রতিবেশীর দূর সম্পর্কের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। ওই মেয়ে চট্টগ্রাম থাকে। তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার জন্য রুবেলের মোবাইল ফোন দরকার ছিল। 

রুবেল গরিব পরিবারের হওয়ায় তার পরিবারের পক্ষে মোবাইল কিনে দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য বন্ধু রহিমের হাতের মোবাইল ফোন সেটটি পছন্দ করে এবং রহিমকে হত্যা করে মোবাইলটি নেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধু রহিমকে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে চলাভাঙ্গা দরবার শরীফে নিয়ে আসে। এরপর কৌশলে রহিমকে দরবার শরীফের পেছনে ধান খেতে নিয়ে পিছন থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে একাই হত্যা করে রহিমের মোবাইল নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে চট্রগ্রামে চলে যায় রুবেল। এরপর রহিমকে হত্যা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে রুবেলকে সন্দেহ করে। পর্যায়ক্রমে তদন্ত শেষে চট্টগ্রাম থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রহিমের স্বজনরা বলেন, ‘একটি মোবাইলের জন্য রহিমকে হত্যা করবে এটি কেউ আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। বিভিন্ন সময়ে রুবেল রহিমের মোবাইল ফোন নিতে আসতো এবং রহিম তার বন্ধু রুবেলকে মোবাইল দিয়ে দিত। এমন হত্যাকান্ড কেউ মেনে নিতে পারছে না।’ 

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশিরুল আলম রাইজিংবিডিকে জানান, রহিমের ব্যবহৃত মোবাইলের ক্লু ধরে অভিযুক্ত রুবেলকে চট্টগ্রাম থেকে মোবাইলসহ গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে রুবেল আমাদের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। রুবেলের ১৬৪ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, একটি মোবাইলের জন্য এমন ঘটনা ঘটবে, এটি রীতিমতো সবাইকে চমকে দিয়েছে।