পরিবেশ বাঁচানোর সংগ্রামে বাংলাদেশে ভারতীয় যুবক

‘প্লাস্টিক বর্জন করুন, পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করুন’— স্লোগানে পরিবেশ বাঁচানোর সংগ্রামে নেমেছে এক ভারতীয় যুবক। আর সচেতনতার বাণী ছড়িয়ে দিতে ভারতের গন্ডি পেরিয়ে এবার বাংলাদেশে এসেছেন ২১ বছর বয়সী রোহান আগারওয়াল।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে দেশের উত্তর জনপদের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন পথে-প্রান্তে ঘুরতে দেখা গেছে রোহানকে। সেই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে প্লাস্টিক ব্যবহার না করার জন্য আহ্বান জানান তিনি৷ 

রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে রোহান জানান, বেশ কিছু দিন আগেই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন তিনি। এর আগেও বাংলাদেশের ৩৪টি জেলায় গিয়ে এমন সচেতনতামূলক বার্তা দিয়েছেন। প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন।

রোহান আগারওয়াল ভারতের মহারাষ্ট্রের প্রদেশের বাসিন্দা। পড়াশোনা করছেন স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিএ ও বিকম নিয়ে। দেশের বাইরে থাকায় পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন অনলাইনে। কখনো পায়ে হেঁটে,  কখনো গাড়িতে করে ছুটছেন একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। নিজের দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও প্লাস্টিক ব্যবহার রোধে সঙ্গী করার প্রয়াসে বাংলাদেশে পদযাত্রা তার৷ 
রোহান আগারওয়াল, ‘বাংলাদেশে আমি ৯০ দিন আগে এসেছি। বাংলাদেশের ৩৪ জেলায় ঘুরেছি। এটা ৩৫ নম্বর জেলা ঠাকুরগাঁও। আমার দেশ-বিদেশ ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবেশ এবং প্লাস্টিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। আজকে আমরা পরিবেশের যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তা উপলব্ধি করছি। এগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই আমার এই ভ্রমণ। বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের এ সম্পর্কে কথা বলছি৷ যারা আমরা আগামী দিনে এ পরিবেশে বসবাস করবো,  তাদের সকলকে প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক দিকগুলো বুঝানোর চেষ্টা করছি৷ যদি আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার রোধ না করি তাহলে পরিবেশের ভয়াবহ বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে।’ 

রোহানের মতে, তার ভ্রমণ শুধু তার একার নয়, এটা সবার। প্রকৃতি বাচাঁতে প্লাস্টিক পরিহার করা সকলের প্রয়োজন। তাই তার ভ্রমণে সকলকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তার বিষয়ে আমার তেমন মন্তব্য নেই৷ মূলত প্লাস্টিকের বিষয় তিনি আমাকে বলেছেন৷ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করছেন৷ উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে সচেতনতার মাঝে তার আলাদা উদ্দেশ্য আছে কি-না, সেই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমরা সচেতন রয়েছি।’