ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

উপকূলে প্রথমবারের মতো বারবারা জাতের ব্রকলি চাষে সাফল্য

মো. ইমরান, পটুয়াখালী (উপকূল) || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৪, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১১:২৫, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
উপকূলে প্রথমবারের মতো বারবারা জাতের ব্রকলি চাষে সাফল্য

পটুয়াখালীর বেশির ভাগ জমি লবনাক্ত। এ লবনাক্ত জমিতেও ব্রকলি চাষ করা যায় এমন ধারণা নেই উপকূলের কৃষকদের মাঝে। তবে এবার প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বারবারা জাতের ব্রকলি চাষে সফল হয়েছেন কালাম মোড়ল (৪০)। 

মনে করা হচ্ছে, ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর তিনি এ ব্রকলি বিক্রিতে আয় করবেন ২ লাখ টাকা। তার দেখাদেখি ইতোমধ্যে এ নতুন ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছে অনেক কৃষক। 

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লোন্দা গ্রামের কালাম মোড়ল উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় মাছের ঘেরের পাড়ে ৫০ শতক জমিতে জমিতে বারবারা জাতের ব্রকলি চাষ করেছেন। সঠিক পরিচর্যা ও রোগ বালাই না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার। বর্তমানে এক একটি ব্রকলির ওজন হয়েছে দেড় থেকে দুই কেজি। এরই মধ্যে তিনি ১শ টাকা কেজি দরে ৫০,০০০ টাকার ব্রকলি বিক্রি করেছেন। এ মৌসুমে তিনি ২ লাখ টাকার ব্রকলি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তাই হাসি ফুটেছে কালামের মুখে। 

বর্তমানে কালাম মোড়লের ব্রকলির ক্ষেত ঘুরে দেখছেন ওই এলাকার অনেক কৃষক। তার সফলতা দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন ব্রকলি চাষে। 

কালাম মোড়ল বলেন, প্রথমে কৃষক অফিস থেকে বারবারা জাতের আঁটি সংগ্রহ করে চারা করেছি। পরে ২০০০ চারা ঘেরের পাড়ে রোপণ করেছি। এ ঘেরটিও আমার নয় স্থানীয় একজনের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। এতো ভালো ফলন হবে আমি নিজেও আশা করিনি। কারণ অনেকইে বলেছে লবনাক্ত জমিতে ব্রকলি চাষ হবেনা। ইতোমধ্যে আমি ৫০ হাজার টাকার ব্রকলি বিক্রি করেছি। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করছি আরও দেড় লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। 

লোন্দা গ্রামের কৃষক সালাম মিয়া বলেন, এ বছর আমরা তরমুজ চাষ করেছি। তবে কালামের ব্রকলির ভালো ফলন হয়েছে। লবনাক্ত জমিতে এতো ভালো হবে এ জানলে আমরাও ব্রকলি চাষ করতাম। 

চম্পাপুর গ্রামের কৃষক শাহিন মিয়া বলেন, কালাম মোড়লের ব্রকলির ক্ষেত ঘুরে দেখেছি। বেশ ভালই ফলন হয়েছে। আগামী আমিও ব্রকলির চাষ করবো।  

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় ব্রকলি চাষে সফল হয়েছেন কালাম মোড়ল। তার দেখাদেখি আরও কোন কৃষক ব্রকলি চাষে আগ্রহী হলে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা এবং পরামর্শ দেয়া হবে। আমরা আশা করছি, এ উপজেলায় ব্রকলি চাষের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটবে।

/টিপু/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়