ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হত্যার ১৭ বছর পর যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৮, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  
হত্যার ১৭ বছর পর যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার 

শহীদুল ইসলামকে সাত জন মিলে হত্যা করে মানিকগঞ্জে দেহ এবং টাঙ্গাইলে মাথা ফেলে রাখেন। সাত জনের মধ্যে একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল কুদ্দুস (৪১)। তিনি দণ্ডিত হলেও পলাতক ছিলেন। ঘটনার ১৭ বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪। 

গ্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুস টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাবনাপাড়া গ্রামের শামসুল হক বেপারীর ছেলে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর আকুয়া বাইপাসে র‌্যাব-১৪ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র‌্যাবের অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান। এর আগে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গাজীপুরের বহেরার চালা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব অধিনায়ক বলেন, ২০০৬ সালের মে মাসে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বেতুলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামকে (৩৪) হত্যা করে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় দেহ এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুরে খন্ডিত মস্তক ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা। এ ঘটনায় ওই মাসের ২১ তারিখে সাটুরিয়া থানার এসআই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামি আব্দুল কুদ্দুস পলাতক ছিলেন। ওই মামলায় তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এই মামলায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব অধিনায়ক আরও বলেন, ভিকটিম শহিদুল ইসলাম ২০০৪ সালে ধামরাই উপজেলার গোয়াড়ীপাড়ায় অফিস ভাড়া নিয়ে বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামক সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। সঞ্চয়, ঋণদান এবং ফিক্সড ডিপোজিট কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানে লাভের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং একসময় তাদের একাউন্টে সদস্যদের সঞ্চয়ের বেশকিছু টাকা জমা হয়। সেই টাকা ও প্রতিষ্ঠানটির লোভে আসামিরা শহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্দুল কুদ্দুসসহ অন্য আসামিরা শহিদুল ইসলামের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে। বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তাকে পাত্রী দেখানোর কথা বলে মানিকগঞ্জে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে রাজা মিয়া, সাহেদ, কুদ্দুস, বিষ্ণু সুইপার রশি দিয়ে গলা পেচিয়ে, রুমাল দিয়ে মুখ চেপে ধরে ভিকটিম শহিদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর শহিদুলের গলা কেটে মানিকগঞ্জে ও মাথা টাঙ্গাইলে নিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে আসামি আব্দুল কুদ্দুস পলিয়ে ছিলেন। পালিয়ে থাকা অবস্থায় নিজের মামাত ভাই'র নাম, তার বাবার নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে নিজের আইডি কার্ড তৈরি করে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। আসামিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।
 

মিলন/বকুল 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়