ঢাকা     সোমবার   ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কুষ্টিয়ায় জমে উঠেছে পশুরহাট 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ২১ জুন ২০২৩  
কুষ্টিয়ায় জমে উঠেছে পশুরহাট 

দেশীয় পদ্ধতিতে গরু-ছাগল পালনের অন্যতম জেলা কুষ্টিয়ার খামারি ও চাষিরা প্রতি বছরের মতো এবারও গরু-ছাগল পালন করেছেন। তৃণমূল প্রান্তিক চাষি কিংবা খামারিরা ধারদেনা করে বছর শেষে কিছু আর্থিক সঞ্চয়ের লক্ষ্যে এসব গরু-ছাগল পালন করেন। 

এ বছর পশুখাদ্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজার মূল্যের কারণে গরু-ছাগলের বাজার মূল্যও ঊর্ধ্বমুখী। তবে চাষিরা উচ্চমূল্যে তাদের গরু-ছাগল বিক্রি করতে পারলেও এর সিংহভাগ টাকা চলে যাবে পশুখাদ্য ব্যয়ে। চাষিদের এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ক্রয় করা খাবারে নির্ভরতা কমিয়ে ঘাসজাতীয় খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন। 

আরো পড়ুন:

জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত আছে ১ লাখ ৭৮ হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ। এসব পশুর মধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ ইতোমধ্যে বিক্রি হয়েছে। 

কুষ্টিয়ার সবচেয়ে বড় পশুর হাট আলামপুরের বালিয়াপাড়া হাটে সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় আট বিঘা জমির ওপর বসা পশুরহাটে তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই। চারদিকে শুধু গরু আর গরু। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মৌসুমি ব্যাপারিদের ভিড়ে জমজমাট পশুরহাট।

মিরপুর উপজেলার সদরপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও তিনটি দেশি জাতের ষাঁড় বড় করেছি। খাবারের দোকানে অনেক টাকা বাকি, গরু বেচা টাকা দিয়ে শোধ করব। যে টাকা থাকবে তা দিয়ে আবার গরুর বাছুর কিনলেই শেষ হয়ে যাবে।’ 

ভেড়ামারা উপজেলার সলক মণ্ডল জানান, ‘গত বছর কোরবানির ঈদের পর ছয়টি গরু কিনেছিলাম সাড়ে ৪ লাখ টাকায়। প্রতিটা গরুর জন্য দিনে খাওয়া খরচ হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। বছরে একটা গরু বড় করতেই খরচ হয়ে যায় ৮০-৯০ হাজার টাকা। সমিতির ঋণের টাকা সুদসহ দিতে হবে। এখন গরু বিক্রি করে সব টাকা শোধ করা লাগবে।’ 

কুষ্টিয়া জেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জেলার ছয়টি উপজেলায় ১ লাখ ৭৮ হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ আসন্ন কোরবানির জন্য মোটাতাজা করা হয়েছে। 
 

কাঞ্চন/বকুল 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়