কক্সবাজারে সংঘর্ষের জেরে যাতায়াতে বাধা, শুটকি মহালে ক্ষতির আশঙ্কা
কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়ায় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সড়ক পথে চলাচলে বাধা দেওয়ায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একমাত্র সড়ক দিয়ে পর্যটক ও পাইকাররা শুটকি কিনতে যেতে পারছে না। ফলে দেশের বৃহৎ শুটকি মহালে ক্ষতি হচ্ছে।
গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সমিতিপাড়া ও কুতুবদিয়াপাড়ার কিছু সংখ্যক লোকজনের মাঝে দফায়-দফায় হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এলাকাবাসী। কুতুবদিয়াপাড়ার লোকজনের চলাচলের একমাত্র পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সমিতিপাড়ার কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় জসিম উদ্দিন বলেন, সড়ক পথে গতিরোধ করে হামলার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাকেন্দ্রসহ শহরে গুরুত্বপূর্ণ কাজে যেতে পারছে না এলাকাবাসী। এমনকি, ওই পথ দিয়ে পর্যটকরাও দেশের বৃহৎ শুটকি মহালে যেতে পারছেন না। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
শুটকি ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুটকির গাড়ি ঢুকতে না দেওয়ায় মজুদ করা শুটকি নষ্ট হচ্ছে। দুই দিনে তাদের ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার শুটকি ক্ষতি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আরও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। শুটকি ক্রয় ও ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদেরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
আতঙ্কিত কুতুবদিয়াপাড়ার লোকজন বলছেন, সমিতিপাড়ার কিছু লোক তাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এতে অনিরাপদ হয়ে উঠেছে তাদের জীবন।
নাজিরারটেক মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিক উল্লাহ সওদাগর বলেন, এ ঘটনায় তারা বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। সড়ক অবরোধ থাকায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া কাঁচা মাছের ২টি ট্রাক প্রায় ৬ ঘণ্টা আটকা পড়ে। এতে মাছগুলো পঁচে প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও মাছ পরিবহণের আরও ২টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বহু টাকার লোকসান গুনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল ওই বিরোধ কোনোভাবে শেষ হতে দিচ্ছে না। এতে লোকজনের পাশাপাশি শুটকি মহাল হুমকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামানকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সাড়া না দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তারেকুর/বকুল